সম্যক খান, কেশপুর: ফের উত্তপ্ত কেশপুর (Keshpur)। ভোটের আগের রাতে রাজনৈতিক হিংসার বলি তৃণমূলকর্মী। গভীর রাতে তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে।
গতকাল রাতে কেশপুর ব্লকের ৪ নম্বর অঞ্চলের দাদপুর গ্রামের হরিহরচক বুথে উত্তম দলুই নামের এক তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মী নিজের বাড়িতে খাবার খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেসময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায়। ছুরি নিয়ে পেটে আঘাত করে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার গভীর রাতে উত্তমবাবুর মৃত্যু হয়। ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। গোটা এলাকা থমথম। এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশবাহিনী। রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। তবে, ভোটারদের মধ্যে চাপা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই কেশপুর কেন্দ্রটি তৃণমূলের গড় হিসেবে পরিচিত। এবারেও এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক শিউলি সাহা। গতবার প্রায় ৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপির প্রীতিশ রঞ্জন কুয়াড় এবং সিপিএমের রামেশ্বর দোলুই।
[আরও পড়ুন: সম্ভাব্য কংগ্রেস প্রার্থী লড়বেন তৃণমূলের হয়ে! অনুব্রতর গড়ে প্রার্থী বদলাচ্ছে শাসকদল]
বস্তুত, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ৯ কেন্দ্র খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা এবং কেশপুরে নির্বাচন শুরু হয়েছে। সকাল থেকে সেভাবে হিংসার খবর না মিললেও, ভোটের আগের রাতে শাসক শিবিরের এই কর্মী মৃত্যুর ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে ভোটারদের মধ্যে। যদিও, নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যাপক হারে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।