গৌতম ব্রহ্ম: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। প্রায় ৯১ লক্ষ কৃষককে দেওয়া হল কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা। এমনিতে ডিসেম্বরের শুরুতেই কৃষকরা এই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যান। তবে, এবার প্রশাসনিক জটিলতার জন্য এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হয়েছে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রের খবর, বুধবার চলতি রবি মরশুমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় বর্গাদার-সহ ৯১ লক্ষ কৃষককে ২ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য দিয়েছে রাজ্য সরকার।
নবান্নে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আনুষ্ঠানিকভাবে এই সহায়তা প্রদানের সূচনা করেন। তিনি জানান, গত খারিফ মরশুমে ৮৯ লক্ষ কৃষককে ওই প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাসে আরও ২ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় নাম লিখিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৯১ লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি: ‘১ বছর পর ভাববেন’, সুবীরেশের জামিনের আরজি খারিজ করে তিরস্কার হাই কোর্টের]
সূত্রের খবর, এই ৯১ লক্ষ কৃষকের মধ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ সুবিধাভোগীকে কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu) প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। সূচনার পর থেকে এ পর্যন্ত ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের সরাসরি মোট ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কৃষকদের মৃত্যু জনিত কারণে ৬৭ হাজার কৃষক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিতে ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।
[আরও পড়ুন: ‘করোনা বিদায় নেয়নি, বিধি মানুন’, উৎসবের আগে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের]
২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের শুরু হওয়া কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় নথিভুক্ত কৃষক, ভাগচাষী এবং বর্গাদারদের অর্থ সাহায্য করা হয়। এক একর বা তার বেশি চাষযোগ্য জমি থাকলে নতুন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় তাদের প্রতি বছর ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়। তার নিচে থাকা জমির মালিকদের জমির আনুপাতিক হারে ন্যূনতম চার হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্যের সংস্থান রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) ঠিক আগে আগে এই প্রকল্পের টাকা পাওয়াটা যেমন লক্ষ লক্ষ কৃষকের মুখে হাসি ফোটাবে, তেমনি ভোটবাক্সেও শাসকদলকে ডিভিডেন্ট দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।