স্টাফ রিপোর্টার: পুরভোটে হযবরল জোট! যেখানে যেমন, সেখানে তেমন। পরিস্থিতি অনুযায়ী স্থানীয় নেতৃত্বকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ছেড়ে দিল প্রদেশ কংগ্রেস (West Bengal Pradesh Congress)। যেখানে দলের জোর আছে সেখানে এককভাবে। যেখানে সংগঠন দুর্বল সেখানে জোট করে লড়াইয়ের নিধান বিধান ভবনের কর্তাদের। শনিবার প্রদেশ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেন অধীর চৌধুরী। রবিবার থেকে রাজ্য জুড়ে কংগ্রেসের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে বলে জানান।
লোকসভায় সবেধন নীলমনি দু’জন সাংসদ। বিধানসভায় শূন্য। এমনকী নিজের জেলা মুর্শিদাবাদেও খাতা খুলতে ব্যর্থ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। এরমধ্যেও পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন তিনি। এদিন বিধানভবনে পুরভোটের প্রস্তুতি সভা করেন। ছিলেন আরেক সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও। বৈঠকে পুরভোটে (West Bengal Civic Polls) দলের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয়। একা লড়াইয়ের পক্ষে কয়েকজন মতামত দিলেও অধিকাংশ নিচুতলায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় অভিষেকের সভার মাত্র একদিন আগে জায়গা বদলের নির্দেশ, নিন্দা তৃণমূলের]
যেহেতু অনেক জায়গাতেই দলের সংগঠন তলানিতে তাই যেখানে যেমন সেখানে তেমন সিদ্ধান্ত নওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন প্রদেশ সভাপতি। সেক্ষেত্রে পুরভোটে বামেদের সঙ্গে জোটের দরজা খুলে রাখা হলো। যেখানে প্রার্থী পাওয়া যাবে না সেখানে বামেদের প্রার্থী থাকলে কংগ্রেস (Congress) তাঁকেই সমর্থন করবে বলেই মনে করছে প্রদেশের একাংশ। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা উপনির্বাচনেও এই ফর্মুলাতেই এগিয়েছে হাত শিবির। চার কেন্দ্রের মধ্যে শুধু শান্তিপুরে সামান্য সাংগঠনিক শক্তি থাকায় সেই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। বাকি কেন্দ্রগুলিতে বামেদের সমর্থন করেছে তারা।
[আরও পড়ুন: কয়েক দশক রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে বিজেপি? প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মমতা]
তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে যে জোটে কোনও সম্ভাবনা নেই প্রদেশ সভাপতির বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত বিজেপির এজেন্ট বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর মতে, বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন ৬ সেপ্টেম্বরের পর থেকে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসকে নিশানা করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীর। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে প্রকাশ্যে বিতর্কে বসার চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।