সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তাতেই ধীরে ধীরে কমছে সংক্রমণ। গত কয়েকদিনের রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যানে অন্তত তেমনটাই স্পষ্ট। ঘূর্ণিঝড় যশের মাঝেও করোনা টিকাকরণ যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্যও বিশেষ বন্দোবস্ত করছে প্রশাসন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশেষ বিদ্যুৎ পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। আর এরই মধ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় সামান্য হলেও স্বস্তি মিলল। তবে কলকাতার থেকেও বেশি চিন্তায় রাখছে উত্তর ২৪ পরগনার ছবিটা।
সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার (Corona Virus) কবলে পড়েছেন ১৭,৮৮৩ জন। এর মধ্যে শহর কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ৩,১২১ জন। সংক্রমণের নিরিখে এদিন ফের তিলোত্তমাকে ছাপিয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ৩,৭৯৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ১,২০৫। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ১,১৯৬ ও ১,১৬৯ জন। উল্লেখযোগ্যভাবে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে নদিয়ায়। একদিনে এই জেলায় আক্রান্ত ১,০৯৮ জন। রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল দার্জিলিংয়ে তুলনামূলকভাবে কমল সংক্রমণ। ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৩ জন করোনা পজিটিভ সেখানে। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৭৩ জন।
[আরও পড়ুন: মানবিক উদ্যোগ! এক টাকা দিলেই শিশুদের জন্য মিলবে ২৫০ মিলিলিটার দুধ]
এদিকে একদিনে ভাইরাসের বলি ১৫৩ জন। যার মধ্যে শুধু উঃ ২৪ পরগনায় একদিনে মৃত ৪৭। কলকাতায় ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৪ হাজার ৫১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ।
তবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন কোভিড জয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯,৬৭০ জন। এ নিয়ে মোট ১১ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৭১ জন করোনাজয়ী। বর্তমানে সুস্থতার হার ৮৮.৮৬ শতাংশ। সুস্থতার হার বাড়ার পাশাপাশি রাজ্যে ফের কমল অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৮৫ জন। দেশজুড়ে টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ হাজার ২৮৮ জনের। যা গতকালের তুলনায় বেশ খানিকটা কম।