ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে হাতকড়া পরিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপরই গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের জালে অনুব্রত মণ্ডল। পরপর দুই হেভিওয়েট নেতার গ্রেপ্তারির পরই কেন্দ্রের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ তুলে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তোলেন, “আমার বাড়িতে ED আর CBI গেলে কী করবেন?”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সুর না চড়ালেও অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) পাশেই যে তিনি রয়েছেন, রবিবার বেহালার ম্যান্টনে মমতার মন্তব্য থেকে তা অনেকটাই স্পষ্ট। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যেভাবে দিন-রাতের খেয়াল না রেখেই তৃণমূল নেতার উপর ‘চড়াও’ হচ্ছেন, তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি। এদিন ইডি-সিবিআইয়ের হানা দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে মমতা (Mamata Banerjee) প্রশ্ন করেন, “আমি বলি কী ভয় লাগছে? কাল যদি আমার বাড়িতে ইডি ও সিবিআই যায়, আপনারা কী করবেন? রাস্তায় নামবেন তো?” মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এহেন প্রশ্ন শুনে তৃণমূল সমর্থকরা ‘হ্যাঁ’ বলে ওঠেন। এরপরই মমতা যোগ করেন, “গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবেন তো? আমারটা আমি একাই লড়ে নেব। কিন্তু আপনাদেরটা আপনাদের লড়তে হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘অনেকে বলছে সেটিং করতে দিল্লি গেছি’, মোদির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিরোধীদের জবাব মমতার]
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি-সিবিআই যাওয়া প্রসঙ্গে ফের তাঁকে কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। ফের মমতা-মোদি সাক্ষাৎ প্রসঙ্গ তুলে এনে তিনি বলেন, “দিল্লি চুক্তি মোতাবেক, দিদির বাড়িতে এখন সিবিআই যাবে না। আমি অন্তত তেমনটাই জানি। বাকিটা ওঁনারাই ভাল জানবেন।”
এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমোর সাফ বার্তা, “প্রতিজ্ঞা করছি মরব তবু ভয় পাই না। লড়ব তবু ভয় পাব না। আমাকে এত ভয় কেন? আমাকে নিয়ে ভয় থাকলে আমাকে মেরে দাও।” দৃঢ় কণ্ঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেন, ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদি জিতবে না। বাংলাকে ওরা দুর্বল করার চেষ্টা করছে।