সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙড় কাণ্ডে ফের পুলিশ হেফাজতে নওশাদ সিদ্দিকি। গ্রেপ্তারির নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন আইএসএফ বিধায়ক। তারই পালটা জবাব দিল রাজ্যের শাসকদল। কোথা থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা এল এবং বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আনার দাবিও জানালেন ফিরহাদ হাকিম এবং কুণাল ঘোষ।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ফিরহাদ হাকিম ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “কোনও ধর্মগুরুকে অবমাননার ইচ্ছা তৃণমূল কিংবা পুলিশের নেই। ধর্মগুরুর চাদরের আড়ালে কেউ রাজনীতি করলে? পুলিশকে মারবেন, আগুন জ্বালাবেন তো মামলা হবে। তৃণমূলের বিরোধিতা করতে হবে বলে যা ইচ্ছা তাই করছেন।” ভোটবাক্সের কথা মাথায় রেখে নওশাদ সিদ্দিকি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলে অভিযোগ ফিরহাদের।
[আরও পড়ুন: অবসরের পরেও মিলছে না প্রাপ্য, ‘শিক্ষকদের বকেয়া পেতে কেন এত দেরি?’, ক্ষুব্ধ বিচারপতি মান্থা]
তাঁর দাবি, “বিজেপির বি-টিম নওশাদ।” সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নওশাদ সিদ্দিকিকে ‘ভাল মানুষ’ বলে সার্টিফিকেট দেন। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ফিরহাদের বক্তব্য, “শুভেন্দু এখন আইএসএফ এবং নওশাদ সিদ্দিকির সার্টিফিকেট দিচ্ছে। সিপিএম বিজেপিতে হাত মিলিয়েছে। অদ্ভূত পরিস্থিতি চলছে। হিন্দু-মুসলমান আবেগ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। দেশ কোনদিকে যাচ্ছে?” সরাসরি শুভেন্দুকে নিশানা করে ফিরহাদ বলেন, “শুভেন্দু কি মুসলমানদের জাজ হয়ে গিয়েছেন? যিনি মুসলমানদের জেহাদি বলেছেন। যিনি বলেছিলেন ৩০ শতাংশ ভোট লাগবে না। সে এখন বড় বড় কথা বলছে।”
এরপর ভাঙড় কাণ্ডে ধৃত আইএসএফ বিধায়কের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নওশাদকে তৃণমূলের তরফে তিনটি শর্ত বেঁধে দিয়ে তিনি বলেন, “ভয়ংকর চক্রান্ত হয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকির অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তার উৎস জানতে চাই। কোন কোন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর, সে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আনতে হবে। তৃতীয়ত, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার কিংবা মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বিজেপি নেতাদের প্রকাশ্যে জানাতে হবে তাঁরা সিএএ, এনআরসি মানেন না।” সবমিলিয়ে নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারি নিয়ে আপাতত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তদন্তে আর কোন কোন তথ্য সামনে আসে, সেটাই এখন দেখার।