সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আন্টি’র নাম নিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন না। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) বোনঝিকে এই ভাষাতেই সতর্ক করে দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। প্রশাসনের নীতির কথা মনে করিয়ে এসব কাজে মীনা হ্যারিসকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। একথা জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি। যদিও এ নিয়ে মীনা এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
কমলা হ্যারিসের বোনঝি মীনা হ্যারিস এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের নামে একাধিক জামাকাপড় ডিজাইন করেছেন। থিম ছিল কমলা হ্যারিস। সেসব বিক্রিও হয়েছে চড়া দামে। তখনও তাঁর মাসি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে বসেননি। কিন্তু এবার কমলা হ্যারিসের পরিচয় বদলে গিয়েছে। তিনি এখন মার্কিন প্রশাসনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাশীল ব্যক্তি। তাই তাঁর নাম নিয়ে নিজের কোনও কাজে প্রভাব খাটানো যাবে না। এমনই নীতি হোয়াইট হাউসের (White House)। কমলার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিংয়ের কথায়, ”ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর পরিবারকে হোয়াইট হাউসের নীতি অনুযায়ী চলতে হবে। ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম কোনও বাণিজ্যিক সংস্থার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। যাতে এমনটা মনে না হয় যে ভাইস প্রেসিডেন্ট কোনও ব্যবসায়িক সংস্থার বিস্তারে সাহায্য করছন, তাই এই সিদ্ধান্ত।”
[আরও পড়ুন: কূটনৈতিক মঞ্চে ধাক্কা খেল পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে বাতিল ইমরানের বক্তৃতা]
কমলা হ্যারিস আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই তাঁর বোনঝি মীনাকে নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। মাসির নাম নিয়ে মীনা নিজের কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বারবারই তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। তবে এবার হোয়াইট হাউস তথা মার্কিন প্রশাসন মীনাকে হুঁশিয়ার করে দিল। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা কথা উঠছে। তাঁকে প্রশ্নও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি মীনা হ্যারিসের তরফে। সম্প্রতি গ্রেটা থুনবার্গের টুলকিট শেয়ার করে আটক হওয়া পরিবেশকর্মী দিশা রবির সমর্থনে টুইট করেছিলেন মীনা হ্যারিস। তা ভারত-মার্কিন সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই কি মীনার প্রতি এই হুঁশিয়ারি? প্রশ্ন থাকছেই।