সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফর্সা হওয়ার জন্য কত কিছুই না করে থাকেন অনেকে। বিশেষ করে মহিলারা। ফেয়ারনেস ক্রিম থেকে ভেষজ উপাদান, ঘরোয়া টোটকা -কোনও কিছুই বাদ যায় না ফর্সা হওয়ার তাগিদে। ইদানীং আবার পুরুষরাও বেশ সৌন্দর্য সচেতন হয়ে উঠেছেন। বলিউডের অনেক নায়ককেও ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে। কারণ উন্নয়নশীল কিংবা উন্নত দেশের ক্ষেত্রে আজও গায়ের রং প্রাধান্য পায়। শুধু ভারতবর্ষ নয় তাইল্যান্ডেও একই অবস্থা। সেদেশের পুরুষরা আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন এই ফর্সা হওয়ার তাগিদে। কেবল মুখমণ্ডলই নয় পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার হিড়িকও সম্প্রতি দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে। আর তা রীতিমতো উন্মাদনার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কীভাবে? ভিডিওটিতেই দেখে নিন।
[এবার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে অশ্লীল পোস্ট করল ‘ডিজিটাল তারকাটা’]
বিষয়টি চাউর হয়েছে তাইল্যান্ডের লেলাক্স হাসপাতালের মাধ্যমে। সেখান থেকেই এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আনা হয়। যা সোশ্যাল মিডিয়াতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৯ হাজার শেয়ার হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি। যা দেখে অনেকেই পুরুষাঙ্গ ফর্সা করানোর জন্য হাসপাতালের দ্বারস্থ হচ্ছেন। হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার জানান, এখনও পর্যন্ত একশো জনেরও বেশি এই কাজ করিয়েছেন। আর সমকামীদের মধ্যেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
[কানের লতিতে কাপড় মেলার ক্লিপ লাগিয়েই মিলবে যৌনতৃপ্তি]
কীভাবে হচ্ছে এই কাজ? গায়ের রঙের জন্য বেশিরভাগটাই দায়ী মেলানিন। সেই মেলানিনই লেজারের মাধ্যমে কমিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচটি সেশনে এই কাজ করা হয়। খরচ খুব একটা বেশি নয়। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো। প্রতিদিনই ২ থেকে ৩ জন ভিড় জমাচ্ছেন পুরুষাঙ্গ রং পরিবর্তনের আরজি নিয়ে। রং পরিবর্তন করা এক ব্যক্তি জানান, এখন অনেকটা আত্মবিশ্বাসী বোধ করছেন তিনি। কারণ এখন নির্দ্বিধায় সুইমিং কস্টিউম পরে সৈকতে যেতে পারবেন। তার জন্য সামান্য মূল্য তো চোকানো যেতেই পারে! কিন্তু এই লেলাক্স হাসপাতালে এই পদ্ধতি তাইল্যান্ড সরকারের স্বীকৃতি প্রাপ্ত নয়। আর এ কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ভাবা হচ্ছে।
[আজব কাণ্ড! গর্ভবতী হতে McDonald’s-এর ভাজাভুজি খাচ্ছেন মহিলারা]
The post তাইল্যান্ডে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার হিড়িক, ভাইরাল ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.