সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা বছরের শেষ মাস চৈত্র (Chaitra)। নববর্ষ আসার আগে এই মাসেও পালিত হয় নানা উৎসব-পার্বণ (Hindu Festival)। সে বাসন্তী পুজো হোক কিংবা নবরাত্রি, নীলষষ্ঠী অথবা শিবের গাজন। কিন্তু এই মাসটিকে ধরা হয় মল মাস। তাই চৈত্রে হিন্দুদের বিয়ে (Marriage) সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু কেন? কেন এই মাসে বিয়ে হয় না?
উল্লেখ্য, চৈত্রে নবরাত্রি উদযাপিত হয়। এই সময়ে টানা কয়েকদিন ধরে উপবাস ও অন্যান্য কৃচ্ছ্রসাধন করতে হয়। আমিষ খাবার থেকে দূরে থাকা কিংবা চুল কাটা সবই বন্ধ রাখতে হয়। শরীর-মনকে প্রশান্ত রাখা ও ধৈর্যশীল থাকতে হয়। কিন্তু বিয়ে কেন নিষিদ্ধ এই সময়ে?
[আরও পড়ুন: হলদিরামের নতুন চানাচুরের প্যাকেটে উর্দু ভাষায় লেখা কেন? ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক]
আসলে হিন্দু শাস্ত্র মতে, চৈত্র মাসে যদি বিয়ে হয়, তাহলে কন্যা মদনোন্মক্তা হয়। এর অর্থ কী? সাধারণ ভাবে এর অর্থ নেশাচ্ছন্ন হওয়া। এছাড়াও আরেকটি মত রয়েছে। সেই বিচারে মদনোন্মক্তা অর্থে কামভাব জেগে ওঠাকে বোঝায়। শীতের বিদায়ে বসন্ত ঋতুর এই কালে শরীরে কামভাব বেশি থাকে। কিন্তু শাস্ত্রমতে, এই সময় যৌনতা নিষিদ্ধ। তাই এই ধরনের চিন্তাভাবনা থেকে সকলকে দূরে রাখতেই এই মাসে বিয়ে নিষিদ্ধ।
তবে অন্য মতও আছে। সেই মত বলছে, যেহেতু এই মাসে রবিশস্য ওঠে, তাই কৃষিজীবী এই দেশের গরিষ্ঠ অংশের মানুষকেই ব্যস্ত থাকতে হয় শস্য কাটা ও অন্যান্য কাজে। এই ব্যস্ততার কারণেই এই মাসে বিয়ের আয়োজন করা কঠিন।
[আরও পড়ুন: জমিবিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজি কুলপিতে, প্রাণ গেল যুবকের]
এরই পাশাপাশি রয়েছে বিজ্ঞানের যুক্তিও। আসলে এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। শরীরে জলের অভাবজনিত কারণে ক্লান্তি জন্ম নেয়। ফলে যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির অভাব দেখা দেয়। সেই কারণেই এই মাসে বিয়ে থেকে সকলকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত। তবে কারণ যাই হোক, এই মাসের পরেই বাংলার নতুন বছর। বৈশাখ পড়লেই ফের শুরু হয়ে যাবে বিয়ের মরশুম।