সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই চর্চায় বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরি। তৃণমূলের দাবি, পরীক্ষা নয় স্রেফ সুপারিশেই নাকি চাকরি হয়েছিল তাঁর। এসব নিয়ে বিতর্কের মাঝে মুখ খুললেন মিলিদেবী। তাঁর সাফ কথা, যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা প্রমাণ করুক তৃণমূল। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, চাকরি বিয়ের আগের তাহলে কেন তার সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে সুজন চক্রবর্তীর নাম?
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। একের পর এক গ্রেপ্তার হচ্ছেন অভিযুক্তরা। তাদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগের কথাও জানা যাচ্ছে। এরই মাঝে দিনকয়েক আগে একটি চিঠি প্রকাশ্যে আনে তৃণমূল। টুইটে দাবি করা হয়, সুপারিশেই চাকরি হয়েছিল সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর। সেই প্রসঙ্গে মিলিদেবী জানান, ১৯৮৭ সালে অর্থাৎ তিনি যখন চাকরি পান, সেই সময় লিখিত পরীক্ষা হত না। তিনি কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে চাকরির আবেদন করেন। পরবর্তীতে তাঁকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। সেখানে পাশ করায় তাঁকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়। চাকরিতে যোগ দেন মিলিদেবী।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের DA ইস্যুতে হস্তক্ষেপ দাবি, রাষ্ট্রপতিকে গণ ই-মেল আন্দোলনকারীদের]
এরপরই মিলিদেবী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, যে জয়েনিং লেটারটি বের করেছেন তিনি ইন্টারভিউর রেজাল্ট শিটটাও প্রকাশ্যে আনুন। তাহলেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। যদিও তৃণমূল যাই বলুক না কেন, তাতে গুরুত্ব দিতে বা আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী নন বামনেতার স্ত্রী। তাঁর কথায়, “কে কী বলছে, তাতে আমার লড়ার কিছু নেই।” এদিকে মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ে এই কাঁটাছেঁড়ার মাঝে অনেকেই তাঁদের স্বপক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। প্রকাশ্যে এসেছে সুজন চক্রবর্তীর বিয়ের একটি ছবি। সেখানে বর্ণনা করা হয়েছে, তাঁদের বিয়ের সময় মিলিদেবীর পরিবারের আর্থিক সমস্যার কথা।