সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক কবে থেকে মানুষ প্রথম মদ খাওয়া শুরু করল, তা আর জানা যায় না। সে এক রহস্য। কিন্তু, মদ্যপানের সেই শুরুর দিন থেকেই যে নেশার সঙ্গে হ্যাংওভারের অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক- তা আর না বললেও চলে! মাত্রাতিরিক্ত মদ খেয়ে ফেলা, তার থেকে গা গোলানো, বমি এবং পরের দিন সকালে তীব্র মাথাব্যথা- এ অভিজ্ঞতা কার নেই বলুন তো? সব মদ্যপায়ীই এই অভিজ্ঞতার ভুক্তভোগী!
এবার হয়তো হ্যাংওভারের সেই চেনা ছবিটা এবার বদলাতে চলেছে। ইংলন্ডের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষক ডেভিড নাট দাবি করছেন, তিনি তৈরি করে ফেলেছেন হ্যাংওভার ফ্রি মদ। তাও একরকমের নয়, পাক্কা ৯০ রকমের! তিনি এই নতুন হ্যাংওভার ফ্রি মদের নাম রেখেছেন অ্যালকোসিন্থ।
সিন্থেটিক উপাদানে তৈরি এই মদ যতই খাওয়া হোক, তাতে একটুও গা গোলাবে না! পরের দিন সকালে মাথাব্যথা বা অন্য কোনও উপসর্গেও ভুগতে হবে না বলে দাবি তুলেছেন ডেভিড নাট। তাঁর আরও দাবি, এই অ্যালকোসিন্থই ২০৫০ সালের মধ্যে প্রচলিত মদের বাজার মারবে! তার মধ্যেই হ্যাংওভারযুক্ত প্রচলিত সব মদ হাওয়া হয়ে যাবে বাজার থেকে!
খবরটা ভাল, সন্দেহ নেই! তবে, ডেভিড নাট এখনও পর্যন্ত তাঁর অ্যালকোসিন্থ বিক্রির লাইসেন্স পাননি! কারণটা অবশ্য অন্য। এর আগে, স্বাস্থ্য দফতর তাঁর গবেষণার লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। সেই সময় তিনি সরকারের ড্রাগ অ্যাডভাইজার পদে নিযুক্ত ছিলেন। এবং মন্তব্য করেছিলেন, ঘোড়ায় চড়ার থেকে কম ক্ষতি হয় একসট্যাসি নামের ড্রাগ নিলে!
সেই বিস্ফোরক মন্তব্যের পরেই কাজ খোয়ান ডেভিড নাট। এবং, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনে মন দেন গবেষণায়। যার ফলশ্রুতি এই হ্যাংওভার ফ্রি মদ আবিষ্কার! এবার দেখা যাক, পুরনো তিক্ততা ভুলে আদৌ তাঁর অ্যালকোসিন্থ বিক্রির লাইসেন্স দেয় না কি সরকার!
The post মদ এবার হ্যাংওভার ফ্রি! appeared first on Sangbad Pratidin.