সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও এক ডজন কলার দাম কত হতে পারে? বড়জোর ২০ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু কখনও শুনেছেন পাঁচ থেকে ছ’টি কলার দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা! শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি সামনে এসেছে লন্ডনের (London) এই খবরটি। যা জানার পর হতবাক অনেকেই।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্যামব্রে বার্নস নামে এক মহিলা সম্প্রতি এম অ্যান্ড এস স্টোরে কিছু জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন। স্টোরটিতে নিজের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কেনেন। যার দাম চার পাউন্ড। এরপর কয়েকটি কলাও কেনেন। যার আনুমানিক মূল্য ১ পাউন্ড হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে কাউন্টারে গিয়ে বিল মেটান। তবে পাঁচ পাউন্ড নয়, দেখা যায় তাঁর বিল হয়েছে ১৫৯৯ পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা কি না দেড় লক্ষ টাকারও বেশি। এদিকে তাড়াহুড়োয় সেই টাকাটি ‘অ্যাপেল পে’-র মাধ্যমে দিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: বাজে রান্না, সারাদিন টিভি দেখে শাশুড়ি! সোজা থানায় ফোন বউমার]
কিন্তু এরপরই তিনি বিষয়টি লক্ষ্য করেন তিনি। বুঝতে পারেন, ভুলবশত বা অন্য কোনও কারণেই হোক, তাঁকে বেশি অর্থ দিতে হয়েছে। তিনি ওই কলা ফেরত দিতে চান। কিন্তু স্টোর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা ওই টাকাটি ফেরত দিতে পারবেন না। এরপরই বার্নস প্রায় ৪৫ মিনিট হেঁটে আরও একটি এম অ্যান্ড এস স্টোরে যান। সেখানে গিয়ে নিজের অভিযোগের কথা জানিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে অবশ্য স্টোরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। ওই মহিলাকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক হয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ওই সময় অফিস যাওয়ার তাড়া ছিল। প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করিনি। কিন্তু যখন বুঝতে পারি, ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। বিলের প্রিন্টও বেরিয়ে গিয়েছিল।
এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৯ সালে ম্যাঞ্চেস্টারের হোটেলে এক অস্ট্রেলিয়ান ব্যক্তিকে এক বোতল বিয়ারের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় ৪৮.৫৬ লক্ষ টাকার বিল দিতে বলা হয়েছিল। এমনকী বলিউড অভিনেতা রাহুল বোসকে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে দু’টি কলার জন্য ৪৪২ টাকা দাম দিতে হয়েছিল। ঘটনাটি নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।