সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিজিটাল ভারতের যুগেও পণপ্রথার অভিশাপ রয়ে গিয়েছে। এবার ফের একবার তার প্রমাণ মিলল। শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো ১০ লক্ষ টাকা পণ দিতে পারেনি বাপের বাড়ির লোকেরা। এই কারণে বধূকে নির্যাতনের পর এইচআইভি সংক্রমিত সূচ ফুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, নক্কারজনক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরে। নির্যাতিতা বধূর বাবার অভিযোগ, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ লক্ষ টাকা করে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। জামাইকে এসইউভি, ১৫ লক্ষ টাকা নগদও দিয়েছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানের জাঁকজমকেও কোনও ত্রুটি রাখেননি তিনি। কিন্তু বিয়ের এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আরও ১০ লক্ষ টাকা পণ চেয়ে অশান্তি শুরু করে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তাঁরা। তিনমাস মেয়েকে কাছে রেখেছিলেন তিনি। এরপর পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে সব কিছু মিটিয়ে মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় জামাই। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই ফের অত্যাচার শুরু হয় মেয়ের উপরে।
নির্যাতিতার বাবার আরও অভিযোগ, জোর করে তাঁর মেয়ে এইচআইভি সংক্রমিত সুচ ব্যবহার করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপর থেকে ওই যুবতী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালে ভর্তি করে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পর জানা যায় যুবতী এইচআইভি পজিটিভ। তাঁর স্বামীরও পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় তিনি এইচআইভি নেগেটিভ। অভিযোগ, থানার দ্বারস্থ হলেও প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। তার পর কোনও উপায় না পেয়ে শেষে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতের নির্দেশে মহিলার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। এই বিষয়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পুঙ্খানুপঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে।
