সুব্রত বিশ্বাস: ফের রাতের লোকাল ট্রেনে শ্লীলতাহানির (Molestation) শিকার এক তরুণী। তাঁকে ট্রেন থেকে রেললাইনের পাশের ঝোপে ছুঁড়েও ফেলে দেওয়া হয়। ওই তরুণী মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে ওই তরুণী নদিয়ার নবরায় নগর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার রাত ৯টা ১০ মিনিটের বনগাঁগামী রানাঘাট লোকালে চড়েন। যে কামরায় ওই তরুণী চড়েছিলেন, সেটিতে দু’জন যুবকও ছিল। অভিযোগ, ট্রেন কিছুটা এগনোর পর থেকে শুরু হয় উপদ্রব। ওই যুবকেরা ফাঁকা কামরায় তাঁর শ্লীলতাহানি করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাড়িতে ফোন করেন। পরিজনেরা তাঁকে নবরায় নগর স্টেশনে নামতে বলেন। সেই অনুযায়ী নামার উদ্যোগ নেন তরুণী। তবে ট্রেন থামার ঠিক কিছুটা আগেই তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় ওই দুই যুবক।
[আরও পড়ুন: আরও নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, তবে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা]
এদিকে, ট্রেন থামামাত্রই নেমে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সেই সময় তরুণীর পরিজন এবং প্রতিবেশীরা এক যুবককে পাকড়াও করে। আরেকজন যদিও পালিয়ে যায়। তবে তরুণীর খোঁজ না মেলায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। বেশ কিছুক্ষণ পর রেললাইনের পাশে ঝোপ থেকে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই চলন্ত ট্রেনের মহিলা কামরায় শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। দমদম থেকে শিয়ালদহ আসার রাস্তায় তাঁর শ্লীলতাহানি করে এক যুবক। ফেসবুক লাইভে সাহায্য চান। শেষে শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই ঘটনার পর রাতের প্রত্যেকটি লোকালে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে বলেই দাবি করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। তবে তা সত্ত্বেও রেলের তরফে মহিলাদের নিরাপত্তায় কোনও বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।