সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়ায় ভয়ংকর কাণ্ড। ভল্লুকের হামলায় মৃত্যু হল এক তরুণীর। ৩১ বছরের ওই তরুণী বেলারুশের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গী যুবকের সঙ্গে গভীর জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই অতি সাহসই কাল হল! একটি বুনো ভল্লুক তাড়া করে তরুণীকে হত্যা করেছে বলে অনুমান বন দপ্তরের। এই ঘটনা ইশপের গল্পকে মনে করাল। যেখানে শিক্ষা ছিল- ভল্লুক তাড়া করলে হয় গাছে উঠে পড়তে হবে অথবা মরার মতো ভান করে শুয়ে পড়তে হবে মাটিতে। যার কোনওটিই করেননি তরুণী।
স্লোভাকিয়ার পাহাড়ি এলাকার উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, তরুণীর দেহ মিলেছে নিম্ন তাট্রাস পর্বতমালা এলার গভীর জঙ্গলে। ডেমানভস্কা উপত্যকায় ঘোরাঘুরির সময় আচমকা দুজনকে তাড়া করা ক্ষিপ্ত ভল্লুকটি। দুজনে দুই দিকে পালান। পুরুষ সঙ্গীর চিৎকারে উদ্ধারকারী দল সবটা জানতে পারেন। এর পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালাতেই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধারকারী দলের দাবি, তরুণীর নিথর দেহের খুব কাছেই বসেছিল ভল্লুকটি। শূন্যে বেশ কয়েকটি গুলি ছড়ার প্রাণীটি গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এর পর দেহ তুলে আনা হয়। পাশে ভল্লুকটি থাকলেও তার আক্রমণেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘গর্জনই সার, সংবিধান বদলানোর সাহস বিজেপির নেই’, কটাক্ষ রাহুলের]
উল্লেখ্য, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একাধিক দেশের পার্বত্য অঞ্চলগুলি বাদামি ভাল্লুকের ঘরবাড়ি। ফলে রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনে দেখা মেলে এই বন্য প্রাণীর। বন দপ্তরের সাম্প্রতিক হিসেব বলছে, শুধু স্লোভাকিয়ার পাহাড়-অরণ্যে ভাল্লুকের সংখ্যা ১, ২৭৫টি। প্রশ্ন হল, বিপজ্জনক ওই গভীর জঙ্গলে গেলেন কেন যুগল। তার ফলেই বিপদ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।