সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজ বদলেছে। তা সত্ত্বেও বিয়ের পর নববধূর উপর পোশাক নিয়ে ফতোয়া জারি করে বহু শ্বশুরবাড়ি। এটা পরবে না, সেটা পরবে না করে চাপিয়ে দেওয়া হয় বহু নিয়ম। বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় মানসিকভাবে মেনে না নিলেও স্রেফ পরিবারের কথা ভেবে নিয়ম পালন করেন অনেকে। কিন্তু তার উলটোটাও যে ঘটে। ঠিক যেমন ঘটল ঝাড়খণ্ডে। বিয়ের পর জিনস পরা নিয়ে বাকবিতণ্ডার মাঝে ছুরির আঘাতে নিজের স্বামীকে খুন করল নববধূ। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক প্রায় সকলে।
ঝাড়খণ্ডের জামতারার জোড়ভিটার বাসিন্দা ওই মহিলা। পুষ্পা হেমব্রম নামে ওই তরুণীর সদ্যই বিয়ে হয়েছে। রক্ষণশীল পরিবারের সন্তানের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বধূর দাবি, বিয়ের আগে পোশাক নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। তবে তারপর থেকে পাশ্চাত্য পোশাকের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ হতে থাকে।
[আরও পড়ুন: দমকল দুর্নীতি: জরিমানার মুখে PSC, আরও বাড়ল নিয়োগে স্থগিতাদেশের মেয়াদ]
গত শনিবার রাতে স্বামীর সঙ্গে পুষ্পা গোপালপুর গ্রামে একটি মেলা দেখতে যায়। সেখানে জিনস পরেই গিয়েছিল ওই বধূ। ফিরে আসার পর স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তাঁর। কেন মেলায় যাওয়ার সময় জিনস (Jeans) পরেছিল সে, তা জানতে চান স্বামী। ঝগড়াঝাটির মাঝে তরুণী স্বামীর দিকে ছুরি হাতে দৌড়ে যায়। আঘাতও করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
পরিবারের লোকজন ওই যুবককে উদ্ধার করে। ধানবাদের শহিদ নির্মল মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসাও চলে ছুরিকাহত যুবকের। তবে শেষরক্ষা হয়নি। শেষমেশ প্রাণ যায় তাঁর। নিহত যুবকের পরিবারের তরফে জামতাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতের বাবা কর্ণেশ্বর টুডু বলেন, “আমরা ছেলে এবং বউমার মধ্যে জিনস পরা নিয়ে ঝগড়াঝাটি চলছিল। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝে ছুরি দিয়ে আমার ছেলের উপর হামলা চালায়।” ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গৃহবধূকে পাকড়াও করে। তবে খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।