স্টাফ রিপোর্টার: আর কয়েকঘণ্টা বাদেই সাউদাম্পটনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ICC World Test Championship Final 2021) ফাইনালে খেলতে নামবে ভারত (India)। তবে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ফাইনালের আগে টিমকে চাপমুক্ত রাখতে চাইছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সতীর্থদের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে বেশি চাপ না নেওয়ারই বার্তা দিলেন তিনি। বিরাটের মতে, একটা ম্যাচ খারাপ খেললে পৃথিবী কখনই উলটে যাবে না। তাই ওই ম্যাচ নিয়ে বেশি ভাবার প্রয়োজন নেই।
এদিকে, গত দু’দিন আগে মহম্মদ সিরাজ আর ইশান্ত শর্মাকে নিয়ে বিরাট কোহলির একটা টুইটের পরই যে চর্চা শুরু হয়েছিল। সাউদাম্পটনে ফাইনাল খেলতে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে বিরাট প্রেস কনফারেন্স করতে আসার পরই সেই চর্চার আবার অবসানও হল। গত দু’দিনে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে আলোচনা চলেছে–ফাইনালে ভারত চার পেসারে নামবে? নাকি তিন পেসার আর দুই স্পিনারের সেই ট্র্যাডিশনাল ফর্মুলা? একইসঙ্গে এটাও নিয়েও চর্চা চলে, তিন পেসার হলে কে কে খেলবেন? মোটামুটি দু’জন পেসার আগেই কনফার্মেশন লিস্টে ঢুকে পড়েছিলেন। জসপ্রীত বুমরা আর মহম্মদ সামি। শোনা যাচ্ছিল, ইশান্ত শর্মা আর মহম্মদ সিরাজের মধ্যে কেউ একজন খেলতে পারেন। এদিন অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্ট প্রথম এগারো ঘোষণা করে দেওয়ার পর পুরোটা পরিষ্কার। তিন পেসার নিয়েই নামছে ভারত। বুমরা, সামির সঙ্গ ইশান্ত। দু’জন স্পিনার অশ্বিন আর জাদেজা। খারাপ লাগবে হনুমা বিহারীর কথা ভেবে। অস্ট্রেলিয়ায় ওরকম একটা ইনিংস খেলে টেস্ট বাঁচানোর পরও ফাইনালের টিমে তাঁর জায়গা হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: Euro 2020: খেলার মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া এরিকসনের হার্টে বসছে কৃত্রিম যন্ত্র]
অন্যদিকে, ফাইনাল যুদ্ধের আগেরদিন টিমকে যতটা সম্ভব হালকা রাখার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক কোহলি। তাই সাংবাদিক সম্মেলনে করতে এসে বলে গেলেন, একটা টেস্ট আর পাঁচ দিন দিয়ে এই টিমকে বিচার করা যাবে না। বার্তাটা খুব পরিষ্কার–ফাইনাল ম্যাচ ভেবো বাড়তি কোনও চাপ নিও না। একটা ম্যাচে ভাল বা খারাপ খেলতে পৃথিবী বদলে যাবে না। বিরাট বলেছেন, “পাঁচদিনের একটা টেস্ট দিয়ে কিছুই বিচার হয় না। যাঁরা ক্রিকেট বোঝান, তাঁরা জানেন গত চার-পাঁচ বছর ধরে কী পারফর্ম করেছে। যদি আমরা জিতি তাহলেও ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাবে না। আর হারলেও হবে না। এটাও ঠিক আরেকটা ম্যাচের মতোই। বাইরে থেকে দেখে অনেক কিছু মনে হতে পারে। মানছি, এটা দারুণ একটা মুহূর্ত। কিন্তু মনে রাখতে হবে জীবন যেমন থেমে থাকে না, তেমনই ক্রিকেটও থেমে থাকবে না। আমাদের প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। যতটা সম্ভব পরিস্থিতি সহজ-সরল রাখতে হবে।”