ইদের নমাজ পড়ার সময়ই কাবুলের মসজিদে বিস্ফোরণ, মৃত ইমাম-সহ ১২

10:20 AM May 15, 2021 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পবিত্র খুশির ইদেই (Eid) আবারও রক্তাক্ত হল আফগানিস্থানের (Afghanistan) রাজধানী কাবুল (Kabul)। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শহরের উত্তর অংশ। নমাজ পাঠের সময় বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন অন্তত ১২ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মসজিদের ইমামও।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলের উত্তরাঞ্চলের সাকার দেরা জেলার একটি মসজিদে। শুক্রবার পবিত্র ইদ উপলক্ষে মসজিদটিতে নমাজ পড়তে উপস্থিত হয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু আচমকাই সেখানে বিস্ফোরণটি ঘটে। তাতেই মারা যান ১২জন। এছাড়া গুরুতর আহত হন অন্তত ১৫ জন। তাঁরা নিকটবর্তী হাসপাতালে ভরতি। তবে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মসজিদের ইমাম মুফতি নাইমানও। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠনই এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। অন্যদিকে, ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তালিবান। ইদ উপলক্ষ্যে আগেই তিনদিনের সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেছিল আফগানিস্থানের কুখ্যাত এই জঙ্গি সংগঠনটি।

[আরও পড়ুন: ইচ্ছেমতো অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের দাম বাড়াচ্ছে চিন, খারাপ হচ্ছে মান! প্রতিবাদ জানাল ভারত]

তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ এবং তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, ইমামকে মারার জন্যই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। মুহিবুল্লা সাহেবজাদা নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনামাত্রই মসজিদে ঢোকেন। দেখতে পান চারিদিকে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। আহতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, মসজিদের ভিতরেই বিস্ফোরক লুকানো ছিল। ঘটনার পর গোটা মসজিদ কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়।

Advertising
Advertising

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই আরও একটি বড়সড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল কাবুলে। সেখানকার দস্ত-এ-বারচি এলাকায় ‘সৈয়দ সুহাদা’ নামের একটি স্কুলে ছাত্রীদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই এলাকায় মূলত শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের মুসলমানদের বাস। বহুকাল ধরেই এই সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়ে আসছে তালিবান, আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের মতো সুন্নি প্রধান জেহাদি সংগঠনগুলি। ফলে এই হামলার নেপথ্যেও তালিবানের হাত থাকতে পারে বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জন পড়ুয়ার। আহত কমপক্ষে ১০০ জন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত-সহ বিশ্বের বহু দেশ।

[আরও পড়ুন: ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে চলছে নিরন্তর সংঘর্ষ! রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আড়ালে কোন ইতিহাস?]

Advertisement
Next