সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। দেশটির পূর্বাঞ্চলে ঝড় ও বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৫ জনের। আহতের সংখ্যা ২৩০। প্রকৃতির রুদ্ররোষে ভেঙেছে বহু বাড়ির দেওয়াল। ধসে গিয়েছে ছাদ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আরও করছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেদেশের তালিবান সরকার।
গত মাস দুয়েক ধরেই অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে ভাসছে আফগানিস্তান। বিপন্ন জনজীবন। প্রাণ হারাচ্ছে গবাদি পশুরাও। কয়েকটি প্রদেশে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সোমবার ফের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে জালালাবাদ এবং নানগারহার প্রদেশের কিছু জেলায়। সঙ্গে বাড়ে ঝড় ও বজ্রপাত। আর তাতেই এই প্রাণহানি ঘটে। হতাহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে।
[আরও পড়ুন: সভায় মৃত সমর্থকের খোঁজই নেননি ট্রাম্প, স্ত্রীকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা বাইডেনের]
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আফগানিস্তানের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান কুরেশি বদলুন জানান, "সোমবার সন্ধ্যায় ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে জালালাবাদ ও নানগারহার প্রদেশে ৩৫ জন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৩০। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা চলছে।" এদিকে, তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক্স হ্যান্ডেলে জানান, "নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য আমরা সমবেদনা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য প্রদান করা হবে।"
বলে রাখা ভালো, গত মে মাসে হড়পা বানে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন আফগানভূমে। বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি চলে যায় জলের তলায়। দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই কৃষিকাজ করেই পেট চালান। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত নয় আফগানিস্তান। কারণে মসনদে তালিবান সরকার। তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর আরও বেশি করে আর্থিক সংকটে ধুঁকছে সেদেশ। পরিকাঠামো খাতে ব্যয় করার মতো অর্থও নেই তাদের কাছে। এই অবস্থায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দিশাহারা আফগানরা।
