shono
Advertisement

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের মেঘ! দামাস্কাস বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলা ইজরায়েলের

বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে ৫ সিরীয় সেনার।
Posted: 09:51 AM Sep 17, 2022Updated: 09:51 AM Sep 17, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মধ্যপ্রাচ্যে ঘনাল যুদ্ধের মেঘ। এবার সিরিয়ার দামাস্কাস বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলা চালাল ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান। বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে ৫ সিরীয় সেনার। ক্ষতি হয়েছে বিমানবন্দরের। শনিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

Advertisement

সিরিয়া প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, দামাস্কাস বিমানবন্দরের পাশাপাশি সিরিয়ার আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলী বিমানগুলি। তবে সিরীয় সেনাবাহিনীর মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের পালটা হামলায় অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হয়েছে। কেন এই হামলা? ইজরায়েলী সেনা সূত্রে খবর, দামাস্কাস বিমানবন্দরের মাধ্যমে সিরিয়া ও লেবাননকে হাতিয়ার দিচ্ছে ইরান। শুধু তাই নয়, লেবানিজ জেহাদি সংগঠন হেজবোল্লাকেও অস্ত্র পাঠাচ্ছে তেহরান। সেই জোগান বন্ধ করতেই বিমানবন্দর ও অস্ত্রের গোদামে হামলা চালানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: নেই হাসি-করমর্দন, মঞ্চ ভাগ করলেও মুখ ফিরিয়েই থাকলেন মোদি ও জিনপিং]

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক দশক ধরে লেবাননে অঘোষিত সরকার চালাচ্ছে ইরানের (Iran) মদতপুষ্ট শিয়া মিলিশিয়া (সশস্ত্র সংগঠন) হেজবোল্লা। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জেহাদ, তাদের জীবনশক্তি এবং জীবিকা দুই-ই। লেবাননের নির্বাচিত সরকার থাকলেও ক্ষমতার রাশ বরাবরই সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর হাতে। মাঝে মাঝেই ইজরায়েলের ভূখণ্ডে রকেট হামলা চালায় হেজবোল্লা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাসে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তারপর তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নেয়। রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলমান। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। প্রায় ১১ দিন ধরে হামাস ও ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। ওই সংঘর্ষে ২৫৬ জন প্যালেস্তানীয়র মৃত্যু হয়। তারপরই জুন মাসে হেজবোল্লার সঙ্গে গোপন বৈঠক করে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। ওই বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল গাজায় ইজরায়েলের (Israel) হামলা। লেবানন পৌঁছন হামাসের শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়েহ। এখানে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন ও স্পিকার নাভিহ বেররির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তারপর লেবানিজ জেহাদি সংগঠন হেজবোল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপর থেকেই গোটা ঘটনাবলির উপর নজর রাখছিল ইজরায়েল। গোপনে হামাসকে অস্ত্র জোগান দিচ্ছে হেজবোল্লা বলেও অভিযোগ।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ফের মিলল গণকবর, বুচার পর এবার প্রকাশ্যে ইজিয়ুম শহরের ভয়াবহ ছবি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement