সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) সরকার পরিচালিত দেশের বৃহত্তম তৈল শোধনাগারে সোমবার সকালে ভায়বাহ আগুন লাগল। নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যে আশপাশের এলাকা থেকে অন্তত এক হাজার পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। এক ব্যক্তি আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। অনেক দূর থেকে আগুনের লেলিহান শিখা এবং কালো ধোঁয়ার স্তম্ভ দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলছে ইন্দোনেশিয়ার এই এলাকায়। তাই আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট করে জানা না গেলেও মনে করা হচ্ছে বাজ পড়েই প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে ও জানানো হয়েছে। প্রায় ১৫ জন অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত কয়েক জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী রুমাজি সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, প্রথমে তীব্র একটি শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। তাঁরা ভাবেন ঘুর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন কাছের তৈল শোধনাগারটিতে আগুন লেগে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার পরই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে দেখেন তাঁরা। প্রথমে একটি স্টোরেজ ট্যাঙ্কে আগুন লাগে পরে অন্য কন্টেনারেও তা ছড়িয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: ‘তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা ঘটেনি’, বিরুলিয়ার ‘হামলা’য় নাম না করে শুভেন্দুকেই নিশানা মমতার]
ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম তৈলি শোধনাগারটি পশ্চিম জাভা (Java) এলাকার বালংগানে অবস্থিত। এটি ইন্দোনেশিয়ার সরকারি তেল উৎপাদক সংস্থা পার্টামিনার নিয়ন্ত্রণাধীন।
শেষ পাওয়া খবরেও জানা গিয়েছে দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও তাঁরা বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। তৈল শোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আর আগুন যাতে বেশি ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সব কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পার্টামিনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন লাগলেও দেশে তেলের জোগানে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ প্রচুর শোধিত তেল মজুত রয়েছে।