সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তেজনার এই আবহে দুই দেশকে 'শান্ত' করতে কথা বলবে আমেরিকা। বুধবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশসচিব মার্কো রুবিও ভারত এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন। যাতে করে উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধ রোখা যায়।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলার পরেই নিন্দায় সরব হয়েছিল আমেরিকা। সেই সময় ভারতেই ছিলেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তিনিও হামলার তীব্র নিন্দা করেছিলেন। অন্যদিকে বদলার আগুনে ফুঁসতে শুরু করেছে ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত হয়েছে, বাতিল হয়েছে পাকিস্তানিদের ভিসা। সবরকম ভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে দিল্লি। যুদ্ধ প্রস্তুতিতে সেনার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শীর্ষ নেতৃত্ব। অপরপক্ষে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে পাকিস্তান। গত পাঁচদিন ধরে টানা সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা। পাঞ্জাবে ভুল করে সীমান্ত ডিঙোনো বঙ্গসন্তান ভারতীয় সেনাকর্মীকে আটকে রেখেছে পাক রেঞ্জাররা।
রবিবার ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর ভারত এবং পাকিস্তানের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। দুই দেশকেই উদ্ভূত সমস্যার ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ খুঁজতে বলা হয়েছে। যদিও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে ক্রমশ। এমন অবস্থায় সংঘর্ষ রুখতে আরও সক্রিয় হল আমেরিকা। সরাসরি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব রুবি। বুধবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, "মঙ্গল বা বুধবারের মধ্যেই বিদেশসচিব ভারত এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।"
শান্তি ফেরাতে আমেরিকা উদ্যোগী হলেও পহেলগাঁও আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদকে অর্থ ও মদত দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ গত তিন দশক ধরে করে এসেছি আমরা।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "এই কাজ পাকিস্তান করেছে, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমের দেশগুলির সমর্থনে। এটা আমাদের ভুল ছিল। যার ফল আমাদের ভুগতে হচ্ছে।" উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করলেও সরাসরি পাকিস্তানের সমালোচনা করেনি আমেরিকা।
