সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট হয়েই হুঙ্কার দিয়েছিলেন, 'বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ' দখল করে নেবেন। কিন্তু সেই দ্বীপের নির্বাচনেই ধাক্কা খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসী ডেমোক্র্যাটস পার্টি বিপুল সাফল্য পেল গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্টের নির্বাচনে। ৩১টি আসনের মধ্যে ১০টিই গিয়েছে তাদের দখলে। উল্লেখ্য, স্বায়ত্তশাসিত হলেও গ্রিনল্যান্ড রয়েছে ডেনমার্কের অধীনে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, 'প্রতিবেশী' গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকার অধীনে আনবেন তিনি। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের কুরসিতে বসার পরেও সেই কথা শোনা গিয়েছে রিপাবলিকান নেতার মুখে। কিন্তু গ্রিনল্যান্ডের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করে। ডেনমার্কের 'দাসত্ব' থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া তাঁরা। উল্লেখ্য, গ্রিনল্যান্ডের এবারের নির্বাচনে মোট ৬টি দলের প্রার্থী ছিলেন। তার মধ্যে ৪টি দলই স্বাধীনতা চায়।
অন্তত ৪৪ হাজার ভোটার রয়েছেন গ্রিনল্যান্ডে। ৩১টি আসনে ভোটগ্রহণ হয় মঙ্গলবার। পরের দিন ফলাফল প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আসন গিয়েছে ডেমোক্র্যাটস পার্টির ঝুলিতে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দখলের কথা বললে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ এই দলটিই করেছিল। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তারা। আটটি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্বাধীনতাকামী নালেরাক পার্টি। তৃতীয় স্থানে প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেদের দল আইএ। অর্থাৎ, ২০১৮ সালের পর ফের জোট সরকারই গ্রিনল্যান্ডে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্পের হুঙ্কার ছিল, যে কোনও উপায়ে হোক পানামা, গ্রিনল্যান্ডের দখল নিয়ে তবে থামবেন তিনি। গ্রিনল্যান্ডবাসীকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন নির্বাচনের ঠিক আগে। বলেছিলেন, “আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নকে আমরা সমর্থন করি। যার জন্যই আপনাদের আমেরিকায় স্বাগত জানাচ্ছি আমরা। জাতীয় নিরাপত্তা এমনকি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ড আমাদের প্রয়োজন। আমরা গ্রিনল্যান্ডকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাব যা আপনারা আগে কখনও কল্পনাও করেননি।” কিন্তু ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পরেও গ্রিনল্যান্ডবাসী বেছে নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরোধীকেই।
