shono
Advertisement

Breaking News

হড়পা বান, ধসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত সুমাত্রা, মৃত অন্তত ১৯

ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৮০ হাজার মানুষ।
Posted: 01:35 PM Mar 10, 2024Updated: 01:35 PM Mar 10, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বন্যা আর ধসে বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) সুমাত্রা। বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে দ্বীপটিতে। আরও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। অন্তত ৮০ হাজার মানুষ সরকারি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

Advertisement

গত শুক্রবার রাতের দিকে হড়পা বানের কবলে পড়ে পশ্চিম সুমাত্রা (Sumatra)। জলের তোড়ে উপড়ে যায় গাছ, সেই সঙ্গে পাহাড়ের গা বেয়ে নিচের দিকে গড়িয়ে আসে বড় পাথর। জলের প্রবল স্রোতের পাশাপাশি ভূমিধস- দুই মিলিয়ে বিপর্যয় নেমে আসে সুমাত্রায়। স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মতে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোটোর টারুসান এলাকা। সেখান থেকে অন্তত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আশপাশের গ্রামগুলো থেকেও অন্তত তিনজনের দেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রবিবার পর্যন্ত মোট ১৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলেই খবর।

[আরও পড়ুন: চিনের পর তুরস্ক! ভারতকে চাপে রাখতে এবার কোন মন্ত্র মুইজ্জুর?

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তত ৮০ হাজার মানুষকে সরকারি ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যার জেরে ধ্বংস হয়েছে বেশ কিছু বাড়ি। অন্তত ২০ হাজার বাড়ি জলের তলায়। সেখানেও কেউ আটকে পড়েছেন কিনা এখনও জানা যায়নি। ফলে বন্যার জেরে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা।

কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। সুমাত্রার স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান ডোনি ইউস্রিজাল জানান, ধস আর হড়পা বানের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। মাটির স্তূপ টপকে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে উদ্ধারকারীদের পক্ষে। সঙ্গে বিপদ বাড়াচ্ছে ক্রমাগত বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাহাড়ে ঘেরা সুমাত্রায় একাধিকবার হড়পা বান আর ধসের ঘটনা ঘটেছে। প্রবল ভূমিকম্পও হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। আরও একবার প্রকৃতির রোষে পড়ল ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপটি।

[আরও পড়ুন: ‘ইজরায়েলকে বিপদে ফেলছেন নেতানিয়াহু’, গাজার যুদ্ধ নিয়ে তোপ বাইডেনের

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement