সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের উপর শর্তের চাপ বাড়াল ইজরায়েল। রবিবার প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বার্তা, শুধু বন্দিমুক্তি নয়, হামাসকে দ্রুত আত্মসমর্পণও করতে হবে। যদিও আত্মসমর্পণের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে হামাস নেতৃত্ব। তবে দ্বিতীয় দফার সংঘর্ষবিরতির শর্ত হিসাবে, প্রতি সপ্তাহে পাঁচ জন করে পণবন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি তারা। এখন প্রশ্ন হল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ণ সমর্থন পাওয়া আত্মবিশ্বাসী নেতানিয়াহু কি হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি হবেন?

রবিবার নেতানিয়াহু জানান, “হামাসের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে রাজি হয়েছে তাঁর মন্ত্রিসভা।” অতএব, সমস্ত পণবন্দিকে মুক্ত করার দিকে এগোচ্ছে ইজরায়েল। জেরুজালেমে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের শুরুতেই নেতানিয়াহু বলেন, "একদিকে সামরিক হামলা চালিয়ে হামাসকে চূর্ণ করা হবে, অন্যদিকে আমাদের বন্দিদের মুক্তি করার ব্যবস্থা হবে।" উল্লেখ্য, সব পণবন্দির মুক্তির দাবিতে গোটা দেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ইজরায়েলের নাগরিকরা। এই অবস্থায় নেতানিয়াহুর মতোই তাঁর সহকারীরাও হামাসের উপর চাপ বাড়ানোর নীতিতে একমত হয়েছেন।
রবিবারও ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে গাজায়। হামলায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কয়েক জন শিশুও রয়েছে। এর মধ্যেই ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থামাতে আসরে নেমেছে কাতার ও মিশর। উভয় দেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। ইজরায়েল পালটা প্রস্তাব দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সংঘর্ষ বিরতি শর্ত নিয়ে আমেরিকা কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।