সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর দিনই লাহোরে পরপর বিস্ফোরণ! ড্রোন থেকে এল আঘাত! বৃহস্পতিবার সাতসকালে ধোঁয়ার চাদরে ঢাকল আকাশ। বেজে উঠল বিপদ সাইরেন। হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। বিপদ বুঝে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দর।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দরের নিকটবর্তী গোপাল নগর এবং নাসিরবাদ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। এই এলাকাটি অভিজাত এলাকা (মূলত ব্যবসায়ী) এবং সেনা ছাউনির সংযোগস্থল। স্বাভাবিকভাবে এই বিস্ফোরণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণ বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করে দেয় স্থানীয়রা। গোটা এলাকা ঢেকে যায় ধোঁয়ায়।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। পাঁচ-ছয় ফুট উপর থেকে বিস্ফোরক ফেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের পর ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে। কে বা কারা এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিদেশসচিব ও সেনা। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে। এই অপারেশনের পরদিনই ফের বিস্ফোরণ ঘটল পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহরে।
