shono
Advertisement

আড়াই হাজার বছরের ‘ধাঁধা’, পাণিনির সূত্রের রহস্যভেদ কেমব্রিজের ভারতীয় পড়ুয়ার

প্রাচীন কাল থেকেই এই তত্ত্বের কুয়াশা ছিল অধরা।
Posted: 01:21 PM Dec 16, 2022Updated: 01:28 PM Dec 16, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়াই হাজার বছর ধরে যে রহস্যের সমাধান হয়নি, করতে পারেননি তাবড় পণ্ডিতরা, সেই সমস্যার সমাধান করলেন ভারতীয় এক পড়ুয়া। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Cambridge University) ওই পড়ুয়ার নাম ঋষি রাজপুত। ২৭ বছরের ঋষি সংস্কৃত (Sanskrit) এক ‘ধাঁধা’র সমাধান করে চমকে দিয়েছেন। প্রাচীন এই ভাষাতত্ত্বের অনেক রহস্য এখনও বিস্মিত করে পণ্ডিতদের। তেমনই পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী’ তত্ত্ব। এতদিন পরে তার সমাধান করে চমকে দিয়েছেন ঋষি।

Advertisement

কী এই ‘অষ্টাধ্যায়ী’? কিংবদন্তি এই বৈয়াকরণের এক ব্যকরণ সংক্রান্ত তত্ত্বের নামই ‘অষ্টাধ্যায়ী’। কোনও বাক্যে শব্দপ্রয়োগের ক্ষেত্রে তার সঠিক ব্যাকরণগত প্রয়োগের কৌশল এই তত্ত্বে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সেটা বুঝে ওঠা যেত না। আসলে একটি বিশেষ পর্যায়ের পর একাধিক ধাপের কথা রয়েছে। আর সেটাই এমন রহস্যময়, যে সঠিক ভাবে অনুধাবন করা যেত না। কিন্তু এবার ঋষি সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন।

[আরও পড়ুন: রাতের আকাশে সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৫-এর, আঘাত হানবে বেজিংয়েও!]

প্রাচীন কাল থেকেই এই তত্ত্বের রহস্য সমাধান অধরা থেকে গিয়েছে। বহু সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সমাধান করা যায়নি। ঋষি দীর্ঘদিন ধরেই টানা কাজ করেছেন ওই তত্ত্বের কুয়াশাভেদ করার জন্য। যদিও একেবারে শেষে এসে কার্যতই হাল ছাড়ার পরিস্থিতি হয়েছিল তাঁর। তাঁর কথায়, ”আমি এগতে পারছিলাম না। একটানা ৯ মাস কাজ করার পর হাল ছেড়ে দিই। সেই ব্রেকটাই কাজে এসেছে। ছুটি কাটিয়ে ফিরে যখন নতুন করে শুরু করি তখনই সব বুঝতে পারি। উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এরপর আড়াই বছরের মধ্যেই সবটা সমাধান করে ফেলেছি।”

ঋষির মতে,”ভারতের প্রাচীন জ্ঞানগুলি সংস্কৃতে ধরা আছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা কী অর্জন করেছিলেন তা আমরা এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। আমার আশা, এই আবিষ্কার ভারতীয় পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাস, গর্ব এবং আশায় উদ্বুদ্ধ করবে। তাঁরা আরও বড় কিছু অর্জন করতে পারবেন।”

[আরও পড়ুন: ‘আগামী বছর ৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হলেও কপাল ভাল’, মোদি সরকারকে তোপ রঘুরাম রাজনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement