shono
Advertisement
Nepal

'রাজতন্ত্র চাই, চাই হিন্দুরাষ্ট্র', সশস্ত্র বিক্ষোভে জ্বলছে নেপাল, রাজপথে টহল সেনার

হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার শতাধিক।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 04:14 PM Mar 29, 2025Updated: 04:14 PM Mar 29, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'গণতন্ত্র লোপ করে অতীতের রাজতন্ত্র ফেরানো হোক, হিন্দুরাষ্ট্র হয়ে উঠুক নেপাল', এই দাবিতে হিংসাত্মক আন্দোলনে ফেটে পড়ল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল। প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের সমর্থকদের এই বিক্ষোভে ব্যাপক হিংসা, অগ্নিসংযোগ ও মৃত্যুর ঘটনায় শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছে সেনা। চলছে রাজপথে টহলদারি।

Advertisement

অনেকদিন ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে নেপালে। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তাঁর সমর্থকরা। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং বিরোধী দলনেতা প্রচণ্ডের বিরুদ্ধে স্লোগান শুরু হয়। রাজনৈতিক দলের অফিসে চলে হামলা। পুলিশকে পাথর ছোড়ার পাশাপাশি রাস্তায় যানবাহনে আগুন দেওয়া ও দোকানপাঠ লুটের ঘটনা চলে। আন্দোলনকারীরা সংসদ ভবনের দিকে অগ্রসর হলে তাঁদের থামাতে বলপ্রয়োগ করে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয় দুই জনের। হিংসা থামাতে কাঠমান্ডু-সহ একাধিক শহরে কার্ফু জারি হয়। চলে সেনার টহলদারি।

শনিবার প্রশাসনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, হিংসার পর শুক্রবার ৪.২৫ মিনিট নাগাদ কারফিউ জারি করা হয়েছিল। শনিবার সকাল ৭টায় তা তুলে নেওয়া হয়েছে। হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১০৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। পুলিশের দাবি শুক্রবারের হিংসায় ৫৩ জন পুলিশ, ২২ জন সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং ৩৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এই বিক্ষোভের মূলচক্রী দুর্গা প্রসাই পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।

কিন্তু কেন হঠাৎ রাজতন্ত্রের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল নেপাল? দুই দশক আগে পর্যন্ত রাজতন্ত্র ছিল নেপালে। শেষ রাজা ছিলেন জ্ঞানেন্দ্র। ২০০৬ সালে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, ২০০৮ সালে ২৪০ বছরের রাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে চালু হয় গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শাসন ব্যবস্থা। জ্ঞানেন্দ্র হয়ে যান ক্ষমতাহীন সাধারণ নাগরিক। রাজপ্রাসাদ ছাড়তে হয় তাঁকে। এমনকী কোনও সরকারি সুবিধাও পেতেন না তিনি। এদিকে গত ১৬ বছরে নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম আকার নিয়েছে। এই কয়েক বছরে ১৪ বার সরকার বদল হয়েছে নেপালে। ছিঁটেফোটাও আর্থিক উন্নয়ন ঘটেনি দেশে, বরং দুর্নীতি বেড়েছে। এখনও নেপাল নির্ভরশীল বৈদেশিক সাহায্য ও পর্যটনের উপর। এই পরিস্থিতির মাঝে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রাক্তন রাজার ভিডিওবার্তা রাজতন্ত্রের সলতেয় নতুন করে অগ্নিসংযোগ করে।

এরপর গত ৯ মার্চ প্রাক্তন রাজার সমর্থনে একটি সমাবেশ করা হয়। জ্ঞানেন্দ্র কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছোনোর পর তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হন বিপুলসংখ্যক মানুষ। সেখানেই স্লোগান ওঠে, 'রাজতন্ত্র চাই, চাই হিন্দুরাষ্ট্র।' এই আবহে শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহাল পাল্টা রাজতন্ত্র বিরোধী সভা করে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দেন। এরপরই অশান্তি চরম আকার নেয়। যার পরে হিংসাত্মক আকার নেয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • রাজতন্ত্রের দাবিতে হিংসাত্মক আন্দোলনে ফেটে পড়ল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল।
  • প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের সমর্থকদের এই বিক্ষোভে ব্যাপক হিংসা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
  • পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছে সেনা।
Advertisement