সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রজা ঐক্যবদ্ধ হলে রাজা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সে শাসন ব্যবস্থা যতই শক্ত ধাতের হোক। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে চিনে (China) তুমুল আকার ধারণ করে লকডাউন (Lockdown) বিরোধী প্রতিবাদ। ‘হয় স্বাধীনতা দাও, নয় মৃত্যু দাও’ স্লাগান তুলে পথে নামে আমজনতা। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই ছিল নবীন প্রজন্ম। ক্ষুব্ধ জনতা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ইস্তফার দাবি তোলে। এই অবস্থায় দেশ থেকে কড়া কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নিল চিনা সরকার। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিমান-বাস-ট্রেন যাত্রা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এতদিন কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ছিল। তা শিথিল করা হয়েছে। এছাড়াও কোভিডে আক্রান্তদের নিজের বাড়িতে নিভৃতবাসের অনুমতি দিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন।
এশিয়ার অন্য দেশগুলির তুলনায় চিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে বেশি। নভেম্বর শেষেও বেজিং-সহ একাধিক শহরে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সেখানে দৈনিক করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁইছুঁই। এর মধ্যেই দিনের পর দিন লকডাউনে নাজেহাল মানুষ মুক্ত জীবনের দাবিতে প্রশাসন বিরোধী বিভোক্ষ শুরু করে। আগুনে ঘি পড়ে একটি বহুতলে আগুন লাগার ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যুতে। অভিযোগ, বহুতলটির চারপাশে লকডাউন থাকায় সেই বহুতলের বাসিন্দারা পালিয়ে প্রাণে বাঁচতে পারেননি। এই অবস্থায় লকডাউন মানবেন না, এই অবস্থানে অনড় হন চিনের নাগরিকদের অধিকাংশ। চিনা প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ইস্তফারও দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা।