সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি বিদেশে গম রপ্তানি (Wheat Export) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের এহেন পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে সাতটি পশ্চিমী দেশের সংগঠন জি-৭ (G-7 Countries)। সেই প্রসঙ্গেই এবার ভারতকে সমর্থন করল চিন। সেদেশের জাতীয় মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে বলা হয়েছে, ভারতকে দোষ দিলেই বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের সমাধান হবে না।
প্রচণ্ড গরমে গম চাষের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে গম রপ্তানিতে রাশ টেনেছে কেন্দ্র। সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জি-৭-এর সদস্য জার্মানির কৃষিমন্ত্রী কেম ওজডেমির বলেছেন, “সকলেই যদি রপ্তানি করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে খাদ্য সংকট আরও বেড়ে যাবে।” প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গমের চাষ। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একেবারেই গমের চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে খাদ্য সংকটের জন্য দায়ী করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ।
[আরও পড়ুন: বুদ্ধপূর্ণিমায় নেপালে মোদি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করে দেউবার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ছ’টি মউ]
সকলকে চমকে দিয়ে জি-৭ দেশগুলির এহেন মন্তব্যের বিরোধিতা করে ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে চিন (China)। পশ্চিমী দেশগুলিকে বিঁধে গ্লোবাল টাইমসে বলা হয়েছে, “জি-৭ দেশগুলি ভারতকে অনুরোধ করছে গম রপ্তানি বন্ধ না করতে। তার পরিবর্তে জি-৭ দেশগুলি নিজেরা গম রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে খাদ্য সংকট দূর করতে চেষ্টা করছে না কেন?” পত্রিকাটির সম্পাদকীয় বিভাগে আরও লেখা হয়েছে, ভারতের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে গম রপ্তানি করে আমেরিকা, কানাডা-সহ দেশগুলি। তাই খাদ্য সংকট সমাধানে তাদেরই এগিয়ে আসা উচিত।
পত্রিকায় বলা হয়েছে, যদি পশ্চিমী দেশগুলি আসন্ন খাদ্য সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে গম রপ্তানির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে, তাহলে ভারতের দিকে আঙুল তোলা উচিত নয় তাদের। বিশ্বের দ্বিতীয় গম উৎপাদনকারী দেশ ভারত। কিন্তু বিপুল জনসংখ্যার কারণে দেশের মধ্যেই গমের প্রচুর চাহিদা। নিজের দেশের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ভারত। তাই গম রপ্তানি নিয়ে নয়াদিল্লিকে দোষারোপ করা সাজে না জি-৭ দেশগুলির। এ কথা বলা হয়েছে পত্রিকাটিতে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, খাদ্য সংকটের মোকাবিলা করতে জি-৭ দেশগুলি যদি কোনও পদক্ষেপ করে, তাহলে স্বাগত জানাবে চিন। পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ভারত-সহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলিকে যেন অযথা দোষ দেওয়া না হয়।