সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় ‘পাত্তা’ পেতে মরিয়া জেহাদিরা। তবু জোটেনি স্বীকৃতি। আসেনি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ। কিন্তু এবার আফগানদের পাশে হাজির ‘বন্ধু’ চিন। সেদেশের আমু দরিয়া অববাহিকায় তেল উত্তোলনের জন্য চিনের এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হল আফগানিস্তানের শাসক তালিবানের। এর ফলে কাবুলের অর্থনীতিতে টাটকা বাতাস খেলবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় আফগানিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী (অর্থনীতি) মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের পাশেই দেখা গিয়েছে চিনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং ওয়াইকে। তালিবান জানিয়েছে, প্রথম তিন বছরে ৫৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। সব মিলিয়ে ন্যূনতম ১ হাজার থেকে ২০ হাজার টন তেল নিষ্কাষণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেবভূমে আতঙ্ক! বড়সড় ভাঙনের মুখে যোশিমঠ, সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের, প্রস্তুত চপারও]
এই চুক্তিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে আফগান কূটনীতিকরা। আফগানিস্তানের আর্থিক অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই নুয়ে পড়েছে। কার্যতই ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে অক্সিজেন দেবে এই চুক্তি সেই আশাতেই বুক বাঁধছে কাবুলিওয়ালার দেশ।
গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল জেহাদিরা। নতুন করে সেদেশে শুরু হয়েছিল অন্ধকার যুগ। যদিও ক্ষমতা দখলের পরে তারা জানিয়েছিল, এটা তালিবান ২.০। গতবারের মতো দমন পীড়ন নয়, বরং সাধারণ আফগান বিশেষ করে নারীদের স্বাধীনতা রক্ষায় ব্রতী থাকবে তারা। কিন্তু তা যে স্রেফ ‘ফাঁকা বুলি’, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দ্রুতই। ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরেছে জেহাদিরা। বিভিন্ন অপরাধে হাত-পা কেটে ফেলা, শিরশ্ছেদের মতো শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছে জেহাদি নেতৃত্ব। ভরা স্টেডিয়ামে বেত মারা হয়েছে পরকীয়া থেকে চুরি নানা অভিযোগে অভিযুক্তদের। সেই সঙ্গে ধসে পড়েছে দেশটির অর্থনীতিও। এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তালিবানদের পাশে দাঁড়াল জিনপিংয়ের দেশ।