সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক কাপ চায়ের মূল্যেই যেন বিকিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান! আর সেটাও চার বছর আগে। এভাবেই সেদেশের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার তোপ দাগলেন প্রাক্তন আইএসআই প্রধান ফইজ হামিদ ও ইমরানের আমলের পাক সরকারকে। যদিও তিনি কারও নাম নেননি। কিন্তু তাঁর বক্তব্য থেকে সেটা বোঝা কঠিন নয় বলেই নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
২০২১ সালে কাবুল পুনর্দখল করে তালিবান। সেই সময় ফইজ হামিদ গিয়েছিলেন সেখানে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই ইশাক দার বলেন, ''আমরা যখন সেখানে যাই তখন বলি, আমরা এখানে এক কাপ চা খেতে এসেছি... আল্লাহ সকলের কষ্ট লাঘব করুন, কিন্তু সেই এক কাপ চায়ের মূল্য আমাদের সবচেয়ে বেশি চোকাতে দিয়েছে। ওই এক কাপ চায়ের প্রভাব পড়েছিল আমাদের সীমান্তে... ৩৫ থেকে ৪০ হাজার তালিবান ওখান থেকে এখানে এসে পড়ে। এবং সেই সময়ের সরকার সোয়্যাটে পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো অপরাধী, যারা বহু মানুষকে হত্যা করেছিল তাদেরও মুক্তি দিয়েছিল।''
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মার্কিন সেনাকে তাড়ানোর পর আফগানিস্তানের শাসনভার উঠেছে তালিবানের হাতে। পাকিস্তানের আশা ছিল আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় এলে পাকিস্তানকে সমর্থন করবে তারা। পাকিস্তানের মাটিতে থাকা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরগুলি আফগানিস্তান থেকে পরিচালনা করা যাবে। সেখানকার সশস্ত্র সংগঠনগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে। যদিও বাস্তবে তা হয়নি। বরং অতীতের মতো ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছে তালিবান। তাতেই খেপে উঠেছে পাকিস্তান। ডুরান্ড লাইনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চরম আকার নিয়েছে। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হলেও উত্তেজনা এখনও কমেনি। এই পরিস্থিতিতে পাক বিদেশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য তালিবানদের প্রতি বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানের পরস্পরবিরোধী নীতিকেই তুলে ধরছে। এটা এমন একটি সম্পর্ক যা একসময় কৌশলগত অংশীদারি হিসাবে দেখা হত। কিন্তু এখন পরিষ্কার, তা আদপে পাকিস্তানের জন্য আত্মধ্বংসীই হয়ে উঠেছে।
