সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অসম্মানের চেষ্টা! রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে যোগ দিয়ে যাওয়ার সময় একের পর এক যান্ত্রিক সমস্যার মুখে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া সেখানে ঢোকার পর চলমান সিঁড়িতে পা রাখতেই বন্ধ হয়ে যায় সেটি। এরপর সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে হয় তাঁদের। এখনেই শেষ হয়, রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দেওয়ার ঠিক আগে খারাপ হয়ে গেল টেলিপ্রম্পটার। এমন একের পর এক ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছে হোয়াইট হাউস। দাবি উঠেছে তদন্তের।
জানা গিয়েছে, যে ভবনে রাষ্ট্রসংঘের সভা বসেছিল, সেখানে প্রবেশ করার পর সিঁড়ি ধরে উপরে যেতে হয়। সেইমতো চলমান সিঁড়িতে পা রেখেছিলেন সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায় সেটি। অতঃপর উপায় না দেখে হেঁটেই উপরে যানা তাঁরা। কোনওমতে মূল সভাস্থলে পৌঁছতেই অবাঞ্ছিতভাবে সামনে আসে আর এক বিপত্তি। ভাষণ শুরু হতেই হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায় টেলিপ্রম্পটারে। এই অবস্থায় পকেট থেকে চিরকুট বের করে নিজের ভাষণ চালিয়ে যেতে হয় তাঁকে। রাষ্ট্রসংঘের বিরুদ্ধে নিজের রাগ অবশ্য গোপন করেননি ট্রাম্প। ভাষণের মাঝেই তিনি বলেন, "রাষ্ট্রসংঘে এসে আমি দুটি জিনিস পেয়েছি। খারাপ চলমান সিঁড়ি ও একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার। আমি শুধু এইটুকুই বলব, যে ব্যক্তি টেলিপ্রম্পটার চালাচ্ছেন তাঁর কপালে দুঃখ আছে।"
এই ঘটনায় পরে অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে, "টেলিপ্রম্পটারের সমস্যা আমাদের দিক থেকে হয়নি। রাষ্ট্রসংঘের টেলিপ্রম্পটার একদন ঠিকঠাক কাজ করছিল। সেটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মীরাই পরিচালনা করছিলেন।" উল্লেখ্য, ১৯৩টি সদস্য দেশের উপস্থিতিতে আমেরিকায় শুরু হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠক। সেখানে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রসংঘ শান্তি প্রচেষ্টায় আমেরিকার উদ্যোগকে সমর্থন করছে না। নিজের কৃতিত্ব তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, 'আমি ৭টি যুদ্ধের অবসান ঘতিয়েছি। বহু দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘ এখনও এই শান্তি প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি রাষ্ট্রসংঘ মার্কিন উদ্যোগকে সমর্থন না করে তবে সংস্থাটির অস্তিত্বের অর্থ কী?
