সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার নাশকতার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে (Pakistan) নির্বাচন। ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই দেশজুড়ে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে, জেলে বসেই আমজনতার জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। দেশের রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেন পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সামাল দেওয়া যায়। ১২.৮ কোটি মানুষ এদিন ভোট দেবেন পাকিস্তানে।
গত কয়েক বছরে কার্যত ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। সরকার ভেঙেছে, জেলে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সীমান্ত প্রদেশগুলোতে লাগাতার হামলা চালিয়েছে পাক তালিবান-সহ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী। এহেন পরিস্থিতিতেই নির্বাচন হচ্ছে ভারতের পড়শি দেশটিতে। ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তানের মসনদে কে বসলেন, সেদিকে নজর থাকবে ভারতেরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না কোনও দলই।
[আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধে জ্বলছে মায়ানমার, ভারতীয়দের দ্রুত রাখাইন ছাড়ার আর্জি কেন্দ্রের]
বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন শুরুর আগেই দেশজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল পরিষেবা। আভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, সাময়িকভাবে দেশজুড়ে বন্ধ থাকবে মোবাইল পরিষেবা। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ করা হল।
অন্যদিকে, নির্বাচনে লড়তে পারছেন না জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে পাকিস্তানের নির্বাচনে বেশ এগিয়ে রয়েছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের প্রার্থীরা। বুধবার জেলে বসেই দেশের আমজনতাকে তাঁর বার্তা, ভোটটাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। সকলে যেন যথাযথভাবে ভোট দেন। বুধবার পিটিআইয়ের হয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ। তবে সেই পোস্ট পরে ডিলিট করে দেন তিনি।