সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়াকে এবার ভাতে মারার চেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন সেনাকে কাবু করতে ব্যবহৃত হবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কেরই অর্থ! ইউরোপে ছড়িয়ে থাকা রুশ ব্যাঙ্কের অর্থ অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্রিজ করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দফায় দফায় বৃদ্ধি করা হচ্ছিল এই টাকা ফ্রিজ করার মেয়াদ। সেটাই এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্রিজ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ফ্রিজ করা রাশিয়ার প্রায় ২২ লক্ষ কোটি টাকা ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইউরোপ।
সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রায় ২৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সম্পত্তি রয়েছে ইউরোপে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২ লক্ষ কোটির বেশি। যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধেই এই অর্থ ব্যবহারের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। শুরু থেকেই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপ। ন্যাটো সেনা না পাঠালেও, আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে জেলেনস্কিকে। ইউরোপে ছড়িয়ে থাকা বিপুল পরিমাণ এই রুশ অর্থই ঋণ বাবদ তুলে দেওয়া হবে ইউক্রেনের হাতে। যাতে যুদ্ধের ময়দানে রুশ সেনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারে ইউক্রেন। জানা যাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে এই উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপ।
রাশিয়ার এই সম্পত্তি ফ্রিজ করার জন্য প্রতি ৬ মাস অন্তর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে ভোটাভুটি চলত। তবে ইউরোপের মধ্যে আবার দুই দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে রাশিয়ার এরা হল হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়া। রুশ সম্পত্তি ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের আপত্তি এড়াতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সম্পত্তি ফ্রিজ করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইউক্রেনকে টাকা দিতে এই দুই দেশের আপত্তি আর ধোপে টিকবে না। ইউরোপের পরিকল্পনা, যুদ্ধ শেষ করে রাশিয়া যদি ইউক্রেনকে ক্ষতিপূরণ দেয় তবেই এই ঋণ শোধ করবে জেলেনস্কির দেশ। এই বিষয়ে আগামী ১৮ ডিসেম্বর বৈঠকে বসতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। বলার অপেক্ষা রাখে না ইইউ-এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৪ বছর ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলি। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ নিলেও বিশেষ লাভ হয়নি। এবার কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার উদ্যোগ নিল ইউরোপ।
