সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ আগস্ট আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক (Trump-Putin Summit) ঘিরে প্রবল চর্চা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনকে ছাড়া এই যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব নয়। সেই সুরেই সুর মিলিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলিও জানিয়ে দিল, সত্যিই কিয়েভকে বাদ দিয়ে এই যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানি, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের তরফে একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ''ইউক্রেন ছাড়া ইউক্রেনে শান্তির পথ নির্ধারণ করা যাবে না।''
এদিকে শনিবার জেলেনস্কি সোশাল মিডিয়ায় বলেন, “ইউক্রেন রাশিয়াকে জমি ছেড়ে দেবে না। ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসা অর্থহীন। আমরা সবাই শান্তি চাই। কিন্তু ইউক্রেনকে ছাড়া এই যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব নয়।” সব মিলিয়ে বৈঠকের আগেই তুঙ্গে বিতর্ক। শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি ট্রাম্প নিজেই প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, ‘অবশেষে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আমার বৈঠকটি হতে চলেছে। আগামী শুক্রবার ১৫ আগস্ট আলাস্কায় আমাদের সাক্ষাৎ হবে।’ পরে টেলিগ্রামে রাশিয়ার তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘প্রেসিডেন্টরা নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন, দীর্ঘকালীন শান্তি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে।’
এদিকে এই বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই নিয়ে বিবৃতি দেন। আশাপ্রকাশ করেন যে এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির পথ খুঁজে পাবে। ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অতীত উক্তি স্মরণ করিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র এমনই জানিয়েছেন।
বলে রাখা ভালো, ক্ষমতায় ফিরে নীতি বদলে পুতিনকে কাছে টানার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিষয়টি ঠিকমতো দানা বাঁধেনি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করা যায়নি। ফলশ্রুতি, ট্রাম্পের ক্ষোভ। এমনকী, সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে তিনি বলেন, “অস্ত্র দিলে মস্কোতে বোমা ফেলতে পারবেন?” এবার শান্তি বৈঠকে কী হয় এবং তার প্রতিক্রিয়াই বা কী দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।
