সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও এক দুর্নীতি মামলায় বিদ্ধ হয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। ইতিমধ্যেই তাঁকে ১৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে পাক আদালত। একই সাজা পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিও। এই পরিস্থিতিতে জেলে বসেই বৃহত্তম বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “নিজেদের অধিকার রক্ষায় গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে।”
ইমরান তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আমি খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদিকে গণ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা পাঠিয়েছি। দেশের জনগণকে নিজেদের অধিকার রক্ষায় জাগ্রত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে। তিনি আরও লেখেন, ‘সংগ্রামের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বর উপাসনা। পাকিস্তানের প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য শহিদ হতেও প্রস্তুত!’
২০২১ সালের এক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন ইমরান। দাবি করা হচ্ছে, ওই বছর সৌদি আরবের তরফ থেকে পাওয়া সরকারি উপহারে দুর্নীতি করেছেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। যার জেরেই পাকিস্তান দণ্ড সংহিতার ৪০৯ ধারা অনুযায়ী ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অন্যান্য একাধিক ধারায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দুজনের বিরুদ্ধে ১ কোটি করে মোট ২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০২৩ সাল থেকে আদিয়ালা জেলে বন্দি ইমরান। সম্প্রতি বেশ কয়েক বার সমাজমাধ্যমে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, জেলে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছিলেন ইমরান। সাম্প্রতিক সময়ে জেলে ইমরানের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর ছড়িয়ে ছিল গোটা পাকিস্তানে। অভিযোগ ওঠে, জেলের মধ্যে ব্যাপক অত্যাচারের জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে জেরে ইমরানের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে না দেওয়ার পর এই মৃত্যু সংবাদের ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর গত সপ্তাহে ইমরানের বোন উজমা খানকে ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি যে বেঁচে আছেন তা স্বীকার করলেও উজমা জানান, জেলে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হচ্ছে।
