shono
Advertisement

চিনকে ঠেকাতে মোক্ষম চাল! শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের বিদেশ সচিব

পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে শ্রীলঙ্কাকে প্রচুর ঋণ দিয়ে ফাঁদে ফেলেছে চিন।
Posted: 02:08 PM Oct 04, 2021Updated: 02:08 PM Oct 04, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনকে নজরে রেখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সোমবার দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন আঙ্গিকে সম্পর্ক আরও উন্নততর করার বিষয়ে কথা হয় দু’জনের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাবুলে ইসলামিক স্টেটের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল তালিবান, তুঙ্গে দুই জেহাদি গোষ্ঠীর লড়াই]

সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে সমস্যা এখনও অব্যাহত। এর পাশাপাশি পড়শি দেশের আগ্রাসন নীতি বস্তুত চিন্তায় রেখেছে নয়াদিল্লিকে। উত্তরে পাকিস্তান, নেপালের সঙ্গে যেমন সখ্যতা বজায় রেখেছে লাল-চিন, তেমনই দক্ষিণে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাতেও প্রভাব বিস্তার করেছে বেজিং। এহেন পরিস্থিতিতে ২ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা পৌঁছন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। চারদিনের সফরকালে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেণ তিনি বলে জানা গিয়েছে। শ্রীলঙ্কায় ভারতের দূতাবাস থেকে টুইট করে জানান হয়েছে যে, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক হয়েছে বিদেশ সচিব শ্রিংলার। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তোলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

বলে রাখা ভাল, শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করছে বেজিং। ইতিমধ্যে সেদেশের হামবানটোটা বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন। আর এবার আরও একটি বন্দর তাদের হাতে আসতে পারে বলে খবর। আর এই খবরেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে ভারতীয় নৌসেনা। এই বিষয়টি যে নয়াদিল্লির কাছে খুবই চিন্তার এবং গোটা পরিস্থিতির দিকে যে নজর রাখা হচ্ছে তা স্পষ্ট। ডোকলামের পর গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা বাহিনীর সংঘর্ষের পর থেকেই দুই পড়শি দেশের সম্পর্ক তলানিতে। সাউথ ব্লকের উদ্বেগ বাড়িয়ে বিগত দিনে ভারত মহাসাগরে লাগাতার আনাগোনা বাড়ছে চিনা রণতরীর। শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করেছে লালফৌজের সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ। ফলে কৌশলগত কারণেই এবার শ্রীলঙ্কাকে আরও কাছে পেতে চাইছে নয়াদিল্লি।

উল্লেখ্য, পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে শ্রীলঙ্কাকে প্রচুর ঋণ দিয়ে ফাঁদে ফেলেছে চিন (China)। দ্বীপরাষ্ট্রটির কাছ থেকে হামবানটোটা বন্দর হাতিয়ে নিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। উদ্দেশ্য ভারত মহাসাগরে ভারতকে ঘিরে ফেলা। এর আগে পাকিস্তানের গদর বন্দরে লালফৌজের রণতরী মোতায়েন করেছে বেজিং। তাই বলয় পূর্ণ করে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে লালচিন। কিন্তু বেজিংয়ের চক্রান্ত বুঝতে পেরে পালটা চাল দিয়েছে দিল্লিও।

[আরও পড়ুন: টাইম বোমার সঙ্গে খেলছে রাষ্ট্রসংঘ, মিসাইল বিতর্কে চরম হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement