সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেন জি'র বিপ্লবে পুড়ছে গোটা নেপাল। গোটা সরকার পদত্যাগ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে আপাতত প্রাক্তন বিচারপতি সুশীলা কারকির নাম প্রস্তাব করেছে জেন জি। কিন্তু যে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে এমন এক পালাবদল দেখল নেপাল, সেই জেন জি'র মধ্যেই এখন 'গৃহযুদ্ধ'। আগামী দিনে নেপাল সরকারের প্রধান কে হবেন, সেই নিয়ে তরুণ বিপ্লবীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে। এমনকি নেপালের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে, সেই নিয়েও একমত হতে পারছে না জেন জি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তরুণদের মত, "কোনও রাজনৈতিক দল যেন এই বিদ্রোহের ফায়দা লোটার চেষ্টা না করে। আপাতত আমাদের আত্মসম্মান বজায় রেখে দেশের অখণ্ডতা এবং ঐক্য বজায় রাখতে হবে। নেপালি মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে হবে।" বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে, সংবিধান সংশোধন করেই নেপালের হাল ফেরাতে হবে, এমনটাই মত বিপ্লবী তরুণদের একাংশের। আরেকপক্ষের মত, তরুণ বিপ্লবীরা সরকারের অংশ হবে না। তবে সরকারের কাজে নজরদারির দায়িত্বে থাকবে তারা। অর্থাৎ আগামী দিনে দুর্নীতিমুক্ত নেপাল গড়তে কীভাবে এগনো দরকার, সেই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিপ্লবীরা।
কার হাত ধরে হাল ফিরবে নেপালে? বুধবার জানা গিয়েছিল, জেন জি বিল্পবীদের সর্বসম্মতিক্রমে কারকিকে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি এই প্রস্তাব মেনেও নিয়েছেন। শাসনভার তুলে নিতে সেনার সঙ্গে দেখাও করছেন। যদিও এখন বোঝা যাচ্ছে, পরবর্তী নেতার বিষয়ে একমত হতে পারেনি আন্দোলনকারী এবং সেনা। কারকি ছাড়াও অন্তত চারজনের নাম ভেসে উঠেছে নেপালের পরবর্তী নেতা হিসাবে।
কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ, ধারানের মেয়র হারকা সামপাং, প্রাক্তন সাংবাদিক রবি লামিছানে-তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন সকলেই। নেপালের বিদ্যুৎ দপ্তরের (নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি বা এনইএ) অধিকর্তা কুল মান ঘিসিংয়ের নামও জল্পনায় রয়েছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন কেপি শর্মা ওলি। তারপর দু'দিন কেটে গেলেও নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বা নেতার নাম ঠিক করতে পারেনি বিপ্লবীরা। সেনাপ্রধান এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। শেষ পর্যন্ত কি একমত হবে নেপালের তরুণ প্রজন্ম? নাকি মতবিরোধের আগুনে আবারও পুড়বে এভারেস্টের দেশ?
