সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণনা শেষ হলেও পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল এখনও ঝুলে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ফল ঘোষিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জেলবন্দি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) দল পিটিআই (PTI) সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ১০১টি আসন জিতেছেন। তাহলে কি ফের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ‘শত্রু দেশে’র জাতীয় দলের অধিনায়ক?
এখনই ইমরানের মসনদ দখলের বিষয়ে নিশ্চিয়তা নেই। ২৬৫টি আসনের সংসদে ম্যাজিক ফিগার ১৩৩। পিটিআই কম করে ৩২ আসন পিছিয়ে। অন্যদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) পিএমএল-এন ৭৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিলাবল ভুট্টোর দল পিপিপি ৫৪টি আসনে জিতেছে। শরিফ-ভুট্টো জোট হলেও ৬ আসন কম পড়ছে। এই অবস্থায় পুনর্নির্বাচনের ফল এবং অন্যান্যদের (৩৩) উপর নির্ভর করছে গদি দখল। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রিগিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি বেশ কয়েকটি আসনে পুনর্নির্বাচন হবে। অতএব, জল কোন দিকে গড়াবে তা রবিবার দুপুরে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণার পরেও স্পষ্ট হল না।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে অশান্তি, বাঁশদ্রোণী থেকে গ্রেপ্তার প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার]
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন হয় গোটা দেশের ২৬৫ আসনে। গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে গণনা শুরু হয়েছিল। যদিও বেশ কিছু এলাকায় যান্ত্রিক গোলযোগ এবং ইন্টারনেট পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় গণনায় দেরি হয়। কোথাও কোথাও জঙ্গি হামলাও ভোটের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ফল ঘোষিত হয়েছে। যদিও ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতির কারণে এখনও অন্ধকারে ক্ষমতা দখল।
[আরও পড়ুন: নজরে CAA, রাজ্যসভায় তৃণমূলের মতুয়া প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর, নতুন কারা?]
এই অবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে আগামী কয়েক দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যেই হতে পারে রাজনৈতিক দলগুলির ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র খেলা। যা তুরুপের তাস হয়ে উঠবে পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের ক্ষেত্রে। নজর থাকবে গোটা বিশ্বের।