সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারীদের বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন দেশের মহিলারা। তাঁদের প্রতিবাদে শামিল হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রীও। সমস্ত কাজ বন্ধ রেখে সাধারণ নারীদের সঙ্গেই সমান বেতনের দাবি জানালেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে আইসল্যান্ডে (Iceland)। যদিও লিঙ্গসাম্যতার নিরিখে বিশ্বের সব দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। তা সত্ত্বেও সেদেশের মহিলাদের বেতন পুরুষদের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ কম। তার প্রতিবাদেই বন্ধে শামিল হয়েছেন অন্তত দশ হাজার মহিলা।
মঙ্গলবার থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করেছেন আইসল্যান্ডের মহিলারা। নিজেদের কর্মক্ষেত্র ছেড়ে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথমবার এত বেশি সংখ্যক মহিলা একই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। দেশের কর্মরত মহিলাদের ৯০ শতাংশই এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে হাসপাতাল-সমস্ত ক্ষেত্রেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাজ বন্ধ রেখেছিলেন মহিলারা।
[আরও পড়ুন: যত রহস্য বেজিংয়ে! দুই মন্ত্রী উধাও, এবার আরও দুজনকে সরিয়ে দিল চিন]
সমান বেতনের দাবিতে দেশের সাধারণ মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কাটরিন জাকোবসডটিরও। মঙ্গলবার নিজের সমস্ত কাজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানান, কোনও সরকারি কাজে যোগ দেবেন না কাটরিন। প্রতিবাদের দিনই ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন না বলে সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি রেডিও অনুষ্ঠানে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, লিঙ্গসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে আরও তিনশো বছর সময় লেগে যাবে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নিরিখে, বিশ্বে লিঙ্গসাম্য বজায় রাখার নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড। তা সত্ত্বেও পুরুষ ও মহিলাদের বেতনের মধ্যে ১০.২ শতাংশ ফারাক রয়েছে। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে হেনস্তার শিকার হন আইসল্যান্ডের ৪০ শতাংশ মহিলা। সব মিলিয়ে সমানাধিকারের দাবিতে সরব প্রধানমন্ত্রী থেকে সাধারণ মহিলারা।