সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরকে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি আক্রমণ করলেন আমেরিকাকে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে 'পশ্চাপসরণ' ও 'দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়' বলে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, 'প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম বদলে 'যুদ্ধ বিভাগ' করে দিয়েও একটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী গুন্ডা আবারও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করছে। আবার ওই গুন্ডাই ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিকে দানবীয় প্রতিপন্ন করে আমাদের নিরাপদ পারমাণবিক ঘাঁটিগুলিতে হামলার হুমকি দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।'
উল্লেখ্য, দীর্ঘ তিন দশক পর পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তাঁর সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে লেখেন, ‘অন্যান্য দেশগুলি ইতিমধ্যেই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে। তাই আমিও যুদ্ধ বিভাগকে আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। শীঘ্রই এই প্রক্রিয়াটি শুরু হবে।’ তাঁর দাবি, এক সময়ে এই ভয়াবহ মারণ অস্ত্রের ধ্বংসাত্মক শক্তির এগুলিকে ঘৃণা করতে তিনি। কিন্তু তাঁর কাছে এখন কোনও উপায় নেই বলেই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বক্তব্য, বর্তমানে পরমাণু অস্ত্রের শক্তির নিরিখে আমেরিকার পর দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে রাশিয়া। তারপর রয়েছে চিনি। ট্রাম্পের আশঙ্কা, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই দুই দেশ আমেরিকার সমানে চলে আসতে পারে।
জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরকে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। তাহলে কি চিন-রাশিয়ার অস্ত্রভাণ্ডারে শঙ্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট? এই প্রশ্নটিই এখন উঠতে শুরু করেছে।
