সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের উপরে জঙ্গি হামলা চালাতে নয়া ছক কষছে পাকিস্তানের (Pakistan) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। খলিস্তানি ও কাশ্মিরী জঙ্গিদের নিয়ে একটা নতুন গোষ্ঠী তৈরি করছে তারা। এমনটাই জানা যাচ্ছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে।
জানা গিয়েছে, নতুন এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম লস্কর-ই-খালসা। আইএসআইয়ের কাশ্মীর-খলিস্তান ডেস্ক এই গোষ্ঠী তৈরি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তরুণদের যুক্ত করাই লক্ষ্য এই গোষ্ঠীর। এবং সেজন্য তৈরি করা হয়েছে একটি ফেসবুক আইডি। নাম ‘অমর খলিস্তানি’। সেই আইডি থেকেই চালানো হচ্ছে ‘আজাদ কাশ্মীর অ্যান্ড খলিস্তান’ পেজ।
[আরও পড়ুন: অভিষেককে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন? কয়লা পাচার মামলায় সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে ইডি]
ঠিক কী পরিকল্পনা রয়েছে তাদের? জানা যাচ্ছে, তরুণদের দলে ঢুকিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি তেমনই। আসলে আইএসআই চাইছে কাশ্মীরের চরমপন্থীদের পাশাপাশি পাঞ্জাবের চরমপন্থীদেরও কাজে লাগাতে। এবং এই দুই অঞ্চলের জঙ্গিদের একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে বড় হামলার ছক কষছে তারা। এবং সেটা আজ নয়। ২০১৬ সাল থেকেই এই ‘প্রোজেক্ট’ শুরু করে দেয় আইএসআই। ক্রমেই লম্বা হয়েছে তাদের নেটওয়ার্ক।
সাম্প্রতিক অতীতে বারবার জঙ্গি হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতের। অভিযোগের আঙুল উঠেছে পাকিস্তানের দিকে। কিন্তু সতর্কতার সঙ্গেই পাকিস্তানের বহু চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাকিস্তান নীতির প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে মার্কিন (America) গোয়েন্দা দপ্তরকে। মার্কিন কংগ্রেসকে একটি রিপোর্ট দিয়েছে গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: PUBG খেলতে খেলতে প্রেম-যৌনতা! বিবাহিত প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, নিস্তার পেতে আদালত যুবক]
সেখানে বলা হয়েছে, ভারতের বর্তমান সরকার পাকিস্তানের প্ররোচনার তৎক্ষণাৎ জবাব দিচ্ছে। যা আগে দেখা যেত না। মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স তাদের রিপোর্টে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই সঙ্গে ইসলামাবাদের জঙ্গি উসকানির বিষয়টিকেও মান্যতা দেওয়া হয়েছে। ভারত বারবার যে দাবি করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে। রিপোর্টে সরাসরি বলা হয়েছে, “দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীকে পাকিস্তান সমর্থন করছে, যারা ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে থাকে।” এর পরেই বলা হয়েছে, “বিগত সরকারগুলির তুলনায় ভারতের বর্তমান সরকার পাকিস্তানের প্ররোচনার বিরুদ্ধে অনেক বেশি সক্রিয়।”