সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল! অন্তত ২০০টি মিসাইল আছড়ে পড়েছে ইরানে। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি এবং ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডারের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরদিনই বড়সড় হামলা চালাল তেল আভিভ। গোটা ইজরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাতজ জানান, ইরানের পালটা প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত গোটা দেশ।
শুক্রবার সকালে অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করে তেল আভিভ। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। তবে এই আক্রমণ আসলে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তেহরানের তরফ থেকে লাগাতার পরমাণু হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেটা যতদিন পর্যন্ত না নির্মূল করা যায় ততদিন চলবে এই হামলা। আপাতত আগামী কয়েক ইরানের উপর হামলা চলবে বলেই জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
অন্যদিকে ইরানের জাতীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাদের রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামির। এছাড়াও দুই পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি-দাভানি এবং মহম্মদ মেহদি তেহরানচির মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। তেহরানের বেশ কয়েকটি জনবসতি এলাকায় ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে ইরানের দাবি। প্রচুর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এই হামলার পালটা দেওয়ার হুঙ্কারও দিয়েছে ইরান। যদিও এই হামলায় আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই বলেই জানিয়েছেন সেদেশের বিদেশসচিব মার্কো রুবিও।
ইজরায়েলে ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তেল আভিভ বিমানবন্দর। অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোপুরি বন্ধ ইরানের আকাশপথ। তাদের প্রতিবেশী ইরাকের আকাশসীমাও আপাতত বন্ধ। তার প্রভাব পড়তে পারে ভারত থেকে ওড়া বিমানগুলির উপরেও। বাতিল হতে পারে একাধিক আন্তর্জাতিক উড়ান। মধ্যপ্রাচ্যের বিরাট আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে বিমানগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
