সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ফের হামলা চালাল ইজরায়েল। শনিবার এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের। আহতের সংখ্যা ৮৭। মৃতদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিশুও। এমনটাই দাবি করা হয়েছে হামাসের তরফে। যদিও ইজরায়েলের দাবি, তাদের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হামাস নেতার। গত মাসেও শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করে গাজার বুকে হামলা চালিয়েছিল ইজারায়েলি সেনা। এবার কি তাহলে ফের যুদ্ধ বাধবে যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে? এই প্রশ্নটিই এখন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার উত্তর এবং মধ্য গাজার বিভিন্ন এলাকায় ধরাবাহিক হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। ধ্বংস হয়ে হয়েছে বহু বাড়িঘড়ি। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু এবং মহিলা। ইজরায়েলের অভিযোগ, সম্প্রতি তাদের সেনাদের লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে একদল জঙ্গি। এই হামলার নেপথ্যে হামাসের হাত রয়েছে বলেও দাবি করেছে ইজরায়েল। তারপরই গাজায় এই মারণ হামলা চালাল ইজারায়েলি সেনা।
প্রসঙ্গত, গত মাসে মার্কিন এক রিপোর্টের ভিত্তিতে গাজায় হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। ওই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছিল, হামাসের গোপন ষড়যন্ত্র। সেটি প্রকাশ্যে আসতেই গাজায় আক্রমণ করে ইহুদি দেশটি। পরে মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘প্যালেস্টাইনের সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই পরিকল্পিত আক্রমণ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সরাসরি লঙ্ঘন করবে। মধ্যস্থতার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হয়েছে তাকে নষ্ট করবে।’ হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যদি হামাস এই আক্রমণ চালিয়ে যায়, তাহলে গাজার জনগণ এবং যুদ্ধবিরতি রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যদিও, এই বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি হামাস আক্রমণের উত্তরে কী ব্যবস্থা নেবে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে এক মাস পর গাজায় ফের হামলা চালাল ইজরায়েল।
