shono
Advertisement

বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছে না তালিবান, আফগানিস্তানে ফিরতে চলেছে ‘অন্ধকার যুগ’

শীতের মরশুমে বিদ্যুতের জোগান বন্ধ হয়ে গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াবে।
Posted: 03:01 PM Oct 04, 2021Updated: 03:01 PM Oct 04, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) আসন্ন শীতের মরশুম। পাহাড়ি দেশটির হাড় কাঁপানো ঠান্ডা যে কতটা নির্মম হতে পারে তা ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। এহেন পরিস্থিতিতে এবার কার্যত ‘অন্ধকার যুগে’ ফিরে যেতে চলেছে দেশটি। কারণ, বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানি করলেও সেই বিল মেটাচ্ছে না তালিবান শাসকরা। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি জোগান বন্ধ করে দিতে চলেছে বলে খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: টাইম বোমার সঙ্গে খেলছে রাষ্ট্রসংঘ, মিসাইল বিতর্কে চরম হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার]

আফগানিস্তানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জোগান দেওয়ার জন্য সেই অর্থে কোনও কেন্দ্রীয় পরিকাঠামো বা ‘ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিড’ নেই। ফলে পড়শি মধ্য এশীয় দেশগুলি থেকেই বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয় কাবুলকে। আফগানিস্তানে জেহাদিরা ক্ষমতায় আসার পর ইস্তফা দিয়েছেন দেশের সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার প্রধান দাউদ নুরাজি। তারপর থেকেই কার্যত থমকে রয়েছে সমস্ত প্রশাসনিক কাজ। এছাড়া, বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির বকেয়াও মেটাচ্ছে না তালিবান। ফলে শীতের মরশুমের আগে জোগান বন্ধ করে দিতে পারে তারা। দাউদ নুরাজি জানিয়েছেন, মূলত উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান থেকে দেশের প্রয়োজনের ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করে আফগানিস্তান। আর চলতি বছর অনাবৃষ্টির জেরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে শীতের মরশুমে বিদ্যুতের জোগান বন্ধ হয়ে গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াবে। চিকিৎসার মতো জরুরি পরিষেবা-সহ আম জনতার জীবনে নেমে আসবে চরম দুর্ভোগ। দাউদ নুরাজির কথায়, “বিদ্যুতের জোগান বন্ধ হলে গোটা দেশ প্রভাবিত হবে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে কাবুলে। ধাক্কা খাবে টেলি কমিউনিকেশন ব্যবস্থা। কার্যত অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে আফগানিস্তান।”

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের মানবতা বিষয়ক সমন্বয় দপ্তর দাবি করেছিল, দ্রুত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে আফগানিস্তান। রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র জেন্স লার্ক জেনেভায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, লক্ষ লক্ষ আফগান নাগরিক বড় সমস্যার মুখে। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার মুখে। আন্তর্জাতিক আঙিনার কাছে তাঁর আবেদন, এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ৬০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য় করা হোক।

[আরও পড়ুন: আফগানভূমে অশিক্ষার অন্ধকার! এবার স্কুলেও মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল তালিবান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement