সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বশেষ জনমত সমীক্ষা বলেছিল, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ঘটেছে উলটোটা। হেরেই গিয়েছেন কমলা হ্যারিস। প্রায় সকলেই ধরে নিয়েছে, কমলার মার্কিন মসনদে বসার সম্ভাবনা আর নেই। কিন্তু খোদ কমলা ভাবছেন অন্য কথা। তিনি এখনও আশা ছাড়ছেন না আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হওয়ার! অর্থাৎ 'কমলি নেহি ছোড়েগি' প্রবাদটি সামান্য বদলে বলা যায় মার্কিন মুলুকের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যেন বলছেন, কমলা নেহি ছোড়েগি। ২০২৮ সালের নির্বাচনে তিনি ফের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চান বলেই বিবিসিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেত্রী।
কমলাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আমি এখনও শেষ করিনি। সমগ্র কর্মজীবনকে সেবামূলক জীবন হিসেবেই দেখি।'' সমস্ত হাড়মজ্জায় জনজীবনের স্পন্দনকে তিনি ধারণ করেন বলে দাবি কমলার। আর এরপরই তিনি বলেন, একদিন দেশ প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট পাবেই সেব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। সেই কীর্তিই তিনিই গড়বেন কিনা জানতে চাইলে কমলা বলেন, ''সম্ভবত।''
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, শেষবার মসনদের কাছাকাছি এসেও ফিরে যেতে হয়েছিল বলেই কমলার আত্মবিশ্বাস এখনও অটুট। কিন্তু সম্ভাবনাময় প্রার্থী হয়েও কেন হারতে হয়েছিল কমলাকে। আসলে শুরুতে ৮২ বছরের জো বাইডেনকেই প্রার্থী হিসেব বেছে নেওয়া হয়েছিল। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা থাকলেও কিছুতেই প্রার্থীপদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন না কমলা দন্দ্বে ভুগে শেষ পর্যন্ত তিন মাস আগে প্রার্থী নিশ্চিত হয় ডেমোক্র্যাটদের। দলের এই সিদ্ধান্তহীনতা কমলার হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। হেরে গিয়েও কমলা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি লড়াইয়ের ময়দান ছাড়তে নারাজ।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেত্রী সেই সময় বলেছিলেন, “লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ব না। সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্য, সুযোগের জন্য, মর্যাদার জন্য এই লড়াই জারি থাকবে। এই নির্বাচনে আমরা খুব ভালো লড়াই করেছি। জানি অনেকেই ভাবছেন যে আমরা অন্ধকারে ডুবে গিয়েছি। কিন্তু না। আমি এই বলেই শেষ করব, গভীর অন্ধকারের তারা জ্বলজ্বল করে।” কমলা তাঁর সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারেও পরিষ্কার করে দিলেন, এখনও তিনি অন্ধকার নন, আশার আলোর ভিতরেই থাকতে চান।
