সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের পর প্রাক্তন সোভিয়েত দুনিয়ায় আবারও বাজল রণডঙ্কা। এবার যুদ্ধে জড়াল কিরঘিজস্তান ও তাজিকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে হওয়া এই সীমান্ত সংঘাতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে একশো জনের। আহত অনেকেই। এদিকে, দুই দেশের মধ্যে লড়াই থামাতে আসরে নেমেছে রাশিয়া।
বিবিসি সূত্রে খবর, গত বুধবার সীমান্ত নিয়ে লড়াই শুরু হয় মধ্য এশিয়ার দুই পড়শি দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। শুক্রবার রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সাময়িক সংঘর্ষ বিরতি হলেও ফের রবিবার থেকে লড়াই শুরু হয়েছে বলে খবর। সংঘাতের জন্য দু’পক্ষই একে অপরকে দায়ী করছে। তাজিকিস্তান দাবি করেছে, সংঘর্ষে তাদের ৩৫ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আর ২০ জন। তাজিকিস্তানের (Tajikistan) উত্তরাঞ্চলীয় সুগদ অঞ্চল থেকে সেনা অভিযান হয়েছে বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে। কিরঘিজস্তান জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলয়াকায় ঢুকে পড়েছে তাজিক সেনাবাহিনী। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। যুদ্ধের হাত থেকে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিরীহ জনতাকে বাঁচাতে প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হিন্দু মন্দির ভাঙচুর, ছেঁড়া গেরুয়া পতাকা, ইংল্যান্ডের শান্তিপূর্ণ শহরে তাণ্ডব মুসলিম জেহাদিদের]
এদিকে, রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবার যুযুধান দুই দেশকে শান্তির বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সংঘর্ষ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। যুদ্ধ থামাতে দু’তরফের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে রাশিয়া সব সময়ই প্রস্তুত।” বলে রাখা ভাল, কিরঘিজস্তান ও তাজিকিস্তান দুই দেশের সঙ্গেই রাশিয়ার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। দুই দেশেই রয়েছে রুশ সেনাঘাঁটি। তাই ইউক্রেনে লড়াই চলাকালীন এই যুদ্ধের ফলে মস্কোর উপর চাপ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়া দুই দেশ তাজিকিস্তান এবং কিরঘিজস্তানের মধ্যে প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। যার এক তৃতীয়াংশ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এর আগে, আরও দুই প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সংঘাতে জড়ায়। ইতিমধ্যে সেখানেই শতাধিক সেনা ও অসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে।