সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিগত কয়েকমাস ধরেই বিক্ষোভে উত্তাল মায়ানমার (Myanmar)। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। সংবাদমাধ্যমের উপর নেমে আসছে খাঁড়া। এহেন টালমাটাল পরিস্থিতিতে নিজেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন মায়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং লিয়াং।
রবিবার নিজেই সেকথা ঘোষণা করেছেন মিন। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব সামলানোর পাশাাপাশি আগামী দু’বছরের জন্য তিনি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাসনকার্য চালাবেন। এখানেই শেষ নয়, দু’বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৩ সালে মায়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে সেনাপ্রধানের তরফে বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতের তীব্র বাধা সত্ত্বেও গিলগিট-বালটিস্তানকে অস্থায়ী প্রদেশের তকমা দেবে Pakistan]
এর আগে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের (Myanmar) ক্ষমতা দখল করে সেনা। ফেলে দেওয়া হয় নির্বাচিত সরকার। পরবর্তীতে জেলে পাঠানো হয় মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি (Aung San Suu kyi)-কে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল জনবিক্ষোভ দেখা দেয় দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে। রাজধানী রেঙ্গুনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতেই এবার নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করলেন মিন লিয়াং।
উল্লেখ্য, গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরেছিলেন আং সান সু কি’র (Aung San Suu Kyi) দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সু কি সরকারের। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও করেছে সামরিক ‘জুন্টা’। এরপরই ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট জানিয়েছিলেন, আচমকা কাউন্সিলর সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করেছে সেনাবাহিনী।