সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭.৭ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে কার্যত নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে মায়ানমার। তবে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো গুরুতর এই পরিস্থিতিতেও বিরোধীদের দমন করতে লাগাতার বোমাবর্ষণ করে চলেছে জুন্টাসেনা। চরম এই পরিস্থিতিতে মায়ানমার নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘ। জুন্টার এই হামলাকে 'জঘন্য পদক্ষেপ' বলে তোপ দাগা হয়েছে।

গত শুক্রবার ভয়ংকর ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে এখনও পর্যন্ত ১৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩৪০০ জন। পাশাপাশি ৩০০ জনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছর ধরে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মায়ানমারে সাহায্য পাঠিয়েছে বহু দেশ। মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্ম শুরু করেছে ভারত সরকার। পরিস্থিতি যখন এতটা গুরুতর ঠিক সেই সময় বিদ্রোহী দমনে মায়ানমার সেনার এমন বোমাবর্ষণের নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল।
রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রুস বলেন, "ভূমিকম্পের পর সবাই যখন আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে, সেই সময়ও ওখানকার সেনাবাহিনী বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা বিশ্বাস করা যায় না।" এই গুরুতর পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর উচিত সামরিক অভিযান বন্ধ রাখা। জুন্টা সেনার উপর যাদের প্রভাব রয়েছে তাদের উচিত এই সেনাবাহিনীর উপর চাপ বাড়ান। এই পরিস্থিতিতে এই হামলা কোনওভাবে মানা যায় না। এটা ওদের কাছেও স্পষ্ট হওয়া উচিত।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে শান প্রদেশের নাংচোয় বিমান হামলা চালায় জুন্টা। এই হামলায় মৃত্যু হয় ৭ জনের। উত্তর-পশ্চিমের সাগাইং প্রদেশেও আকাশপথে চলে হামলা। বর্তমানে এই অঞ্চল বিদ্রোহীদের দখলে। থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলগুলিতেও চলে হামলা। যদিও রবিবার সকালেই জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ ও দুর্গতদের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে তৎপর হয়েছে জুন্টা বিরোধী সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। আগামী দু'সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বিরোধী শিবির।